পাক সীমান্তে দিকে এগোচ্ছে তালিবান যোদ্ধারা। ফাইল চিত্র।
আফগনিস্তানে পাকিস্তানের বিমানহানার পর দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই পাক সীমান্তের আরও কাছে তালিবানের ১৫ হাজার যোদ্ধা রওনা হয়েছে বলে আফাগনিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। যে কোনও সময় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তালিবান যোদ্ধাদের আটকাতে প্রস্তুত পাকিস্তানও। হামলার আশঙ্কায় কোয়েটা এবং পেশোয়ারে সেনা এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, পাক-আফগান সীমান্তের দিকেও রওনা দিয়েছে পাক সেনা। ফলে পরিস্থিতি যে ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠতে চলেছে, তার আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে এখনও পর্যন্ত দু’দেশের তরফে কোনও হামলার খবর আসেনি।
দু’দেশের মধ্যে টানাপড়েনের আবহেই কাবুলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র হাফিজ জিয়া পাকিস্তানের বিমান হামলার নিন্দা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বড়দিনের আগের রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের বিমান হামলায় প্রাণ যায় অন্তত ৪৬ জনের। আফগান সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকতিকার বারমাল জেলায় লামান-সহ সাতটি গ্রাম লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালানো হয়। হামলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় বারমালের মুর্গ বাজার গ্রামটি। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্তও ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ এবং আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ চলেছে। হামলার পরেই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেয় আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালিবান। তাদের দাবি, ওয়াজিরিস্তানের শরণার্থী শিবিরের নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে নিশানা করে এই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy