সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ছবি: রয়টার্স।
ব্রিটেনের গ্লাসগোয় শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনের (সিওপি২৬) দ্বিতীয় দিন ছিল আজ। তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা গ্লাসগোর সভাঘরে যখন সম্মেলনে ব্যস্ত তখন ওই শহরেরই একটি পার্কে পৃথিবীকে বাঁচানোর ডাক দিলেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তীব্র শ্লেষে বিঁধলেন ঠান্ডাঘরে বৈঠকে বসা রাষ্ট্রনেতাদের।
গ্রেটার সমর্থনে এ দিন পার্কে জড়ো হয়েছিলেন বহু পরিবেশ আন্দোলনকারী। গ্রেটা বলেছেন, ‘‘এই সিওপি-র সঙ্গে আগেরগুলির কোনও পার্থক্য নেই। সিওপি-র বৈঠকে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা রাজনীতিবিদ। ক্ষমতার শীর্ষে থেকে এমন ভান করছেন যেন ওঁরা আমাদের বর্তমান নিয়ে, ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত। ওই ঘরের ভিতর থেকে কোনও পরিবর্তন আসবে না। ওটা কোনও নেতৃত্বই নয়। সাধারণের মধ্যে থেকেই নেতা উঠে আসবেন। ঠিক এই ভাবে। একেই বলে নেতৃত্ব।’’ মাস্ক নামিয়ে সাংবাদিকদের গ্রেটা বলেছেন, ‘‘নো মোর ব্লা ব্লা ব্লা... হাবিজাবি বলা বন্ধ হোক। পৃথিবী, প্রকৃতি আর মানুষকে শোষণ বন্ধ হোক।’’ জনতার মধ্যে থেকে আওয়াজ ওঠে, ‘‘নো মোর ব্লা ব্লা ব্লা।’’
জলবায়ু সম্মেলনকে ঘিরে সেজে উঠেছে গ্লাসগো। যোগ দিতে এসেছেন অন্তত ১২০টি দেশের রাষ্ট্রনেতা, শিক্ষাবিদ, পরিবেশকর্মীরা। এক মঞ্চে এত জন বিশ্বনেতার উপস্থিতিতে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়েছেন নানা দেশের পরিবেশ আন্দোলনকারীরাও। বৈঠকে যোগ দিতে সভা চত্বরে যখন রাষ্ট্রনেতাদের লিমুজ়িনগুলি ঢুকছে, তখন শহরের নানা অংশে প্ল্যাকার্ড হাতে, বহু বর্ণ পোশাক পরে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের। কাল ক্লাইড নদীর মোহনায় বিখ্যাত ‘দ্য রোনবো ওয়ারিয়র’ নৌকায় চেপে হাজির হন গ্রিনপিস-এর আন্দোলনকারীরা। পরিবেশপ্রেমীদের আর এক সংগঠন অক্সফেম আজ গান গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন গ্লাসগোয়। প্ল্যাকার্ড হাতে বহু বাংলাদেশিকে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে যোগ দিতে গ্লাসগোয় পৌঁছেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy