চ্যাটজিপিটির চেয়ে ভাল ফল করেছে ছাত্রছাত্রীরা। ফাইল ছবি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পর পর চমক দিচ্ছিল চ্যাটজিপিটি। ওপেন এআইয়ের এই বিশেষ টুলটির ক্ষমতায় তাজ্জব অনেকেই। এমন প্রশ্নও উঠেছিল, তবে কি মানুষের পারদর্শিতাকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে যন্ত্রের দাপট? আগামী দিনে এই চ্যাটজিপিটির জন্য চাকরি হারাতে হবে, এই ভয়ও পাচ্ছিলেন অনেকে।
তাঁদের জন্য কিছুটা হলেও সুখবর। কারণ চ্যাটজিপিটির অশ্বমেধের ঘোড়া দৌড়ের সারণিতে কিছুটা থমকাল। মানুষের মেধার কাছে হার মানল কৃত্রিম মেধা। বিশেষ একটি বিষয়ের পরীক্ষায় চ্যাটজিপিটি-র চেয়ে অনেক গুণ ভাল ফল করল রক্তমাংসের ছাত্রছাত্রীরাই।
আমেরিকার ব্রিগহ্যাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা চ্যাটজিপিটির ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য সম্প্রতি অ্যাকাউন্টেন্সির একটি পরীক্ষার আয়োজন করেছিলেন। আরও ১৮৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং বিশেষজ্ঞেরা এই পরীক্ষামূলক আয়োজনে হাত মিলিয়েছিলেন। পরীক্ষার ফল খতিয়ে দেখার পর তাঁদের উপলব্ধি অ্যাকাউন্টেন্সি বিষয়ক একটি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে।
পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, হিসাবনিকাশের এই বিদ্যায় ‘গোল্লা’ পেয়েছে চ্যাটজিপিটি। তার প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ৪৭.৪ শতাংশ। অন্য দিকে, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী ওই একই পরীক্ষায় বসেছিল, তাদের প্রাপ্ত নম্বরের গড় ৭৬.৭ শতাংশ।
পরীক্ষার ১১.৩ শতাংশ প্রশ্নে ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে চ্যাটজিপিটির ফল ভাল। অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমে বিশেষ ভাবে ভাল ফল করেছে কৃত্রিম মেধা। কিন্তু চ্যাটজিপিটি আটকে গিয়েছে ট্যাক্স, অর্থনীতি এবং ব্যবস্থাপনাগত মূল্যায়নে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাকাউন্টেন্সির এই ধরনের পরীক্ষায় যে গাণিতিক পারদর্শিতা প্রয়োজন হয়, তাতে চ্যাটজিপিটি দুর্বল।
যে কোনও ভাষার লেখা পড়তে যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটি। সত্য/ মিথ্যা বা বহুবিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে তার ফল একেবারে নির্ভুল। কিন্তু ছোট ছোট ব্যাখ্যামূলক উত্তরের ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি হোঁচট খেয়েছে বার বার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই ব্যর্থতা নিয়ে বিশেষজ্ঞেরা নতুন করে চর্চা শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy