South Africa considers letting women have multiple husbands
Polyandry
Polyandry: মহিলাদের একসঙ্গে একাধিক পুরুষকে বিয়ের প্রস্তাব দিল এই দেশ
বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় যুগ যুগ ধরে এই প্রথা চলে আসছে। সেটাকে সামাজিক ভাবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে কোথাও।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২১ ১২:১৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
পলিঅ্যান্ড্রি বা পলিগ্যামি। অর্থাৎ মহিলা বা পুরুষের একাধিক যৌন সম্পর্ক। এই শব্দযুগল নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কারও মতে এটা খুবই স্বাভাবিক। কারও মতে, একাধিক যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়াটা ঘোর অন্যায়।
০২১৭
বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় যুগ যুগ ধরে এই প্রথা চলে আসছে। সেটাকে সামাজিক ভাবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে কোথাও।
০৩১৭
সম্প্রতি পলিঅ্যান্ড্রি অর্থাৎ মহিলাদের বহুবিবাহের উপর সামাজিক সিলমোহর দেওয়ার প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
০৪১৭
সে দেশে পুরুষের বহুবিবাহ স্বীকৃত হলেও মহিলাদের বহুবিবাহ মানতে নারাজ এক শ্রেণির মানুষ।
০৫১৭
এই প্রথম বার যে মহিলাদের বহুবিবাহের জন্য সরব হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তা নয়। ২০১৯ সাল থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল।
০৬১৭
বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক নেতা, মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তবেই এমন একটা বিষয়ে আইন আনার জন্য ফাইল পৌঁছেছে সে দেশের সরকারি টেবিলে।
০৭১৭
কিন্তু তাতেই বেঁকে বসেছেন এক শ্রেণির মানুষ। এক শ্রেণি যখন এর পক্ষে সরব, অন্য এক দলের মতে মহিলাদের বহুবিবাহ সমাজের অবনতি ঘটাবে।
০৮১৭
সে দেশের বিখ্যাত টিভি তারকা মুসা এমসেলেকু সবচেয়ে বড় বিরোধী এই প্রস্তাবের। তাঁর মতে, “আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে, আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের কথা ভেবে এর বিরোধিতা করা দরকার।”
০৯১৭
দক্ষিণ আফ্রিকায় কিন্তু এই প্রথা নতুন নয়। পলিগ্যামি অর্থাৎ পুরুষের বহুগামীর চল রয়েছে বহু আগে থেকেই। তা হলে সে ক্ষেত্রে সমাজের অবনতি হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন তুলছে অন্য দল।
১০১৭
মহিলাদের বহু বিবাহের রীতি এ বিশ্বে বহু পুরনো। সভ্যতা এবং শিক্ষার সঙ্গে এর বিলুপ্তি ঘটেছে। তা সত্ত্বেও আজও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রথার চল রয়েছে।
১১১৭
ভারতের কিছু উপজাতির মধ্যে এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মারকুয়েস দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যেও মহিলাদের বহুবিবাহের রীতি দেখা যায়।
১২১৭
ইন্দো-তিব্বত সীমানার কাছে একটি জেলা হিমাচল প্রদেশের কিন্নর। সেখানে আজও ‘দ্রৌপদী’ প্রথা চালু রয়েছে। এই প্রথাকে ‘দ্রৌপদী’ নামকরণ করা হয়েছে কারণ এ ক্ষেত্রে একই পরিবারের সমস্ত ভাইকে বিয়ে করতে হয় মহিলাকে।
১৩১৭
কিন্নররা আসলে নিজেদের পাণ্ডবদের বংশধর মনে করেন। ১৩ বছরের জন্য রাজ্য থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর পাণ্ডবরা নাকি এখানেই লুকিয়ে ছিলেন। যদিও এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারণ ইতিহাসবিদদের মতে, পাণ্ডবদের অনেক আগে থেকেই কিন্নরিদের উল্লেখ রয়েছে।
১৪১৭
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রীতির পিছনে তাঁদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি একটা বড় কারণ।
১৫১৭
পাহাড়ি, দুর্গম এলাকা হওয়ায় কিন্নরের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভাল ছিল না। প্রতিটা পরিবারেরই সম্বল ছিল নামমাত্র জমি। তা এতটাই কম ছিল, যে ভাইদের মধ্যে পরবর্তীকালে ভাগাভাগি হলে সে ভাগের জমি থেকে যা আয় হবে তাতে সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব।
১৬১৭
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইদের মধ্যে জমি যাতে ভাগ না হয় সেই ভাবনা থেকেই ‘দ্রৌপদী’ প্রথার প্রচলন এই অঞ্চলে।
১৭১৭
দক্ষিণ ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার নীলগিরির টোডাস এবং উত্তর ভারতে মুসৌরি থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে জওনসর-বাওয়ার অঞ্চলের উপজাতিদের মধ্যেও এই রীতি দেখা যায়।