মৃত ব্যক্তির ঋণ শোধের নোটিস! —ফাইল ছবি
১৯৯৪ সালে তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। তার পর কেটে গিয়েছে ২৮ বছর। এত দিন পর ব্যাঙ্কের চিঠি পেয়ে রীতিমতো তাজ্জব বাংলাদেশের নরেশ চন্দ্র। চিঠি পড়ে তিনি জানতে পেরেছেন, ২০০৫ সালে ব্যাঙ্ক থেকে তাঁর বাবা ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণ পরিশোধের জন্যই চিঠি পাঠিয়েছে ব্যাঙ্ক।
নরেশের অভিযোগ, তাঁর বাবা পরেশ চন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৪ সালে। মৃত্যুর ১১ বছর পর কী ভাবে তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলেন তা তাঁর বোধগম্য হয়নি। অভিযোগ, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সব শুনেও নিজেদের দাবিতে অনড়।
বাংলাদেশের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের পাঁচুইল গ্রামের বাসিন্দা নরেশ। সোনালি ব্যাঙ্ক থেকে সম্প্রতি তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ১০ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে তাঁকে। নরেশ জানিয়েছেন, নোটিস পেয়ে তিনি মনে করেছিলেন তাঁর বাবা জীবিত অবস্থায় এই ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু চিঠির নীচে দেখেন, ঋণ গ্রহণের তারিখ লেখা রয়েছে ২০০৫ সালের ৩১ অক্টোবর। যার ১১ বছর আগেই তাঁর বাবা গত হয়েছেন।
নোটিস নিয়ে ব্যাঙ্কে যান নরেশ। সেখান থেকে তাঁকে বলা হয়, ব্যাঙ্কের ঋণের নথিতে পরেশ চন্দ্রের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র, ছবি, জমির কাগজপত্র এবং স্বাক্ষর রয়েছে। তাই বাবার নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে ছেলেকেই।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ক্ষেতলাল সোনালি ব্যাঙ্কে এক সময় অনেক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি, ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারাও সেই দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই দুর্নীতির সময়েই পরেশের নামে এই ঋণ নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy