—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কাবুল, ১৪ সেপ্টেম্বর: মধ্য আফগানিস্তানে তাণ্ডব চালাল ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ভুক্ত একদল লোক ঘর প্রদেশ থেকে দাইখুন্ডির দিকে যাচ্ছিলেন। আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে আইএস জঙ্গিরা। আফগানিস্তানের তালিবান সরকার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪ জন। ছ’জন জখম। হামলার দায় স্বীকার করে আইএসের দাবি, তালিবানের দেওয়া তথ্য সঠিক নয়, প্রাণহানির সংখ্যা ১৪-র থেকেও বেশি।
গত কয়েক বছর হল আফগানিস্তান ফের তালিবান শাসনে। কট্টর ইসলামিক শাসন ফিরে এসেছে এ দেশে। যদিও তাতে সন্ত্রাস কমেনি। এ মাসের গোড়াতেই কাবুলে এক আইনজীবীর দফতরে বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস। মে মাসে তাদের হামলায় বাদখশান প্রদেশে তিন পুলিশকর্মীর প্রাণ যায়। এ বারের ঘটনায় আইএস-হামলার কথা তালিবান সরকার ঘোষণা করার আগেই আইএস জানিয়েছিল, তারা এই কাজ করেছে। একটি ইরানি সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত কিছু আফগান ইরাকের একটি ধর্মস্থান দর্শন করে ফিরছিলেন। তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির হয়েছিলেন হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষগুলি। এ সময় হামলা চালানো হয়।
এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে তালিবানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস। তারা কখনও স্কুল, কখনও ধর্মস্থানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কাল বান্দারের দাইখুন্ডিতে নিহতদের শেষকৃত্যে যোগ দিতে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। রেজ়া আলি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট সক্রিয় নয় তালিবান সরকার। না হলে এমন ঘটনা ঘটত না। তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সবসময় চিন্তা হয়। যে কোনও সময় ওদের কিছু হয়ে যেতে পারে।’’ তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লা মুজাহিদ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘নৃশংস ঘটনা। সরকার সকলকে রক্ষা করবে। আততায়ীদের খোঁজ চলছে।’’ সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy