—ফাইল চিত্র।
আজীবন আদিবাসীদের সামাজিক অধিকার নিয়ে লড়াই করে গিয়েছেন। কিন্তু পাদ্রি স্ট্যান স্বামী নিজেই মারা গেলেন বিনা বিচারে জেলবন্দী থাকাকালীন। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর ফুঁসছেন অনেকেই। এ বার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসল রাষ্ট্রপুঞ্জও। বিনা বিচারে যে ভাবে দীর্ঘ দিন স্ট্যান স্বামীকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করল তারা।
স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এ বার তাদের অস্বস্তি বাড়াল রাষ্ট্রপুঞ্জও। মঙ্গলবার সংগঠনের টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, ‘বিনা বিচারে দীর্ঘ দিন বন্দি থাকার পর মৃত্যু হয়েছে ৮৪ বছর বয়সি মানবাধিকার কর্মী স্ট্যান স্বামীর। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত এবং উদ্বিগ্ন। যথেষ্ট আইন প্রমাণ ছাড়া যে সমস্ত মানুষকে আটক করা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে প্রত্যেক রাষ্ট্রের উচিত তাঁদের মুক্তি দেওয়া।’
স্ট্যান স্বামীর ছবিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে আরও লেখা হয়, ‘বাক স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং কোনও সংগঠন করার অধিকার প্রয়োগ করলে কাউকে আটক করা উচিত নয়।’ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল এর আগে জানিয়েছিলেন যে, বিগত ৩ বছর ধরে স্ট্যান স্বামী এবং তাঁর ১৫ জন সহবন্দির মুক্তি চেয়ে ভারত সরকারের কাছে দরবার করে আসছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি দিল্লি।
#India: We are saddened & disturbed by the death of 84-year-old human rights defender Father #StanSwamy, after prolonged pre-trial detention. With COVID-19, it is even more urgent that States release every person detained without sufficient legal basis.
— UN Human Rights (@UNHumanRights) July 6, 2021
https://t.co/WkoxxTiNCb pic.twitter.com/6MUEUcgxMp
শারীরিক অসুস্থতার জেরে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেও, দীর্ঘদিন ধরে স্ট্যান স্বামীর সেই আবেদন ঝুলে ছিল। গত মাসে হলফনামা জমা দিয়ে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তাতে বলা হয়, স্ট্যান স্বামী সত্যি সত্যিই অসুস্থ কি না, তার কোনও প্রমাণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy