Advertisement
E-Paper

পরমদা ইমরান হাশমির মতো দারুণ চুমু খায়, এই দৃশ্যে আমার অভিনয়ে বনির আপত্তি ছিল: কৌশানী

“সৃজিতদার সঙ্গে যখন আমার রসায়ন তৈরি হয়েছে, কথা তো হবেই। যেখানে মানুষটা সৃজিত মুখোপাধ্যায়, এত রোমাঞ্চকর!” বললেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়।

Image of Koushani Mukherjee

‘কিলবিল সোসাইটি’ ছবিতে একটি দৃশ্যে কৌশানী ও পরমব্রত। ছবি: সংগৃহীত।

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪৫
Share
Save

‘বহুরূপী’ ছবির সেই ‘ঝিমলি’ এখন বদলে গিয়েছেন। পরিণত কৌশানী নতুন বছরে নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ডেরা থেকে সোজা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ঘরের মেয়ে। তাঁর মাথায় শুধু সৃজিত, পরম কিলবিল করছে।

প্রশ্ন: আপনি বলছিলেন, নয় বছর পর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আপনার দিকে নজর পড়ল…

কৌশানী: এই ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগের বড্ড অভাব। আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, একটা নির্দিষ্ট ধরনের কাস্টিং করার প্রবণতা রয়েছে এখানে। সৃজিতদার ছবিতে যেমন একই মুখ ঘোরাফেরা করে যদিও ‘এক্স=প্রেম’ ছবিতে নতুন মুখ নিয়ে এসেছে সৃজিতদা, সেই কারণেই আমার একটা আফসোসের জায়গা রয়ে গিয়েছে। ন’টা বছর লেগে গেল আমার দিকে তাকাতে। পরিচালকেরা যদি আগে আমাকে আরও একটু সুযোগ দিত ছবিতে তা হলে হয়তো আরও ভাল ভাল কাজ করতে পারতাম।

প্রশ্ন: ‘বহুরূপী’ দরজাটা খুলে দিল?

কৌশানী: আমার জীবনে আগে এসেছে রাজদার ‘প্রলয়’। তবে রাজদাকে কোথাও দোষারোপ করতে পারি না আমি। আমার লঞ্চ আর রি-লঞ্চ দুটোই রাজদার হাত ধরে হয়েছে। আমার কাছে রাজদার আলাদা জায়গা রয়েছে।

প্রশ্ন: বহুরূপী যদি না আসত?

কৌশানী: কিছুই করতাম না। বাড়িতে বসে অপেক্ষা করতাম ‘বহুরূপী’র মতো একটা ছবির জন্য। রাজদা আমাকে শিখিয়েছে, ধৈর্য রাখতে হবে। হতাশা থেকে ভুলভাল ছবিতে সই করার চেয়ে অপেক্ষা করা ভাল। সে সব ছবি প্রেক্ষাগৃহে কখন এল-গেল বোঝা যায় না।

প্রশ্ন: কী ভাবে ছবির ডাক পেলেন?

কৌশানী: সৃজিতদা আমাকে প্রথম ফোন করে ডাকে। জিজ্ঞেস করে, “তোর চুমু খেতে অসুবিধা আছে?” আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ, অসুবিধা তো নিশ্চয়ই আছে। তার পর সৃজিতদা জানিয়েছিল, এই ছবিতে চুমু খাওয়াটা চিত্রনাট্যের জন্য জরুরি। আমি চিত্রনাট্য শুনলাম। শুনে আর না বলার প্রশ্নই ছিল না। কী অসাধারণ গল্প! সৃজিতদার সঙ্গে আমিও সহমত, কিছু জায়গায় গল্পের খাতিরে ওই দৃশ্যটা প্রয়োজনীয়। আর চুমু খাওয়াটাই তো সব নয়। বুঝেছিলাম ওই চরিত্রের নিশ্চয়ই অন্য অনেক কিছু করার আছে, তার পর কথাবার্তা এগিয়ে যায়। এখন এটা অনায়াসে বলতে পারি যে, আমার অভিনীত সেরা চরিত্র এটি। পর্দায় ঠোঁট ঠাসা চুমু খাওয়া নিয়ে আমার এত বিরোধিতা সেই জায়গাটায় নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি এই চরিত্রটার জন্য। এর আগে কিন্তু বনির সঙ্গেও পর্দায় চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করিনি।

প্রশ্ন: কী ভাবে প্রস্তুতি নিলেন এই দৃশ্যের জন্য, আড়ষ্ট ছিলেন?

কৌশানী: আলাদা করে কোনও প্রস্তুতি নিতে হয়নি। সেটে ‘ইন্টিমেসি কোঅর্ডিনেটর’ থাকেন। স্বচ্ছন্দ হতে তিনি অনেকটা সাহায্য করেছেন। আমি ভীষণ চাপে ছিলাম শটের আগে। সকাল থেকে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। কারও সঙ্গে কথা বলছিলাম না। আমার বিপরীতে পরমদা, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পরমদা তো ইমরান হাশমি, দারুণ চুমু খায়। পর্দায় অনেককে চুমু খেয়েছে। তবে আমি সৃজিতদাকে বলেই দিয়েছিলাম, এটা যেন একটা টেকেই হয়ে যায়। এই দৃশ্যের রিটেক করা যাবে না। শট নেওয়ার পর চিত্রগ্রাহককে সৃজিতদা বলেছিল, “তুই যদি শট না নিতে পেরেছিস বস, পরের চুমুটা তোকে আর আমাকে খেতে হবে। কৌশানী বলে দিয়েছে আর চুমু খাবে না।” সেই শুনে আমাদের কী হাসি! পরমদাও খুব ভাল ভাবে সামলেছে পুরো বিষয়টা।

প্রশ্ন: চুম্বনের দৃশ্য নিয়ে বনির আপত্তি ছিল?

কৌশানী: সঙ্গী হিসাবে তো যে কারও অসুবিধা হবে। বাড়ি ফিরে নিস্তব্ধ একটা পরিস্থিতি ছিল কিছু ক্ষণ। কিন্তু আমি ওর জীবনে আসার আগে পর্দায় ও চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করেছে। ‘বরবাদ’ ছবিতে ঋত্বিকার সঙ্গে ঠোঁট ঠাসা চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করেছে। আমরা সম্পর্কে আসার পর এটা পর্দায় প্রথম চুমু। একটা চ্যালেঞ্জ তো ছিলই, সেটা অতিক্রম করতে হয়েছে। এটা হওয়ারই ছিল।

প্রশ্ন: পারস্পরিক বোঝাপড়া হল কী ভাবে?

কৌশানী: আসলে বাংলা বা কলকাতার ক্ষেত্রেই চুমু একটা বিশেষ বিষয় হিসেবে ভাবা হয়। এই বিষয়টা মুম্বইয়ে কিন্তু কাপ কেকের মতো। ওখানে পর্দায় ‘স্মুচ’ করার আগে দু’বার ভাবে না কেউ। খুব সহজ ভাবে দেখা হয় বিষয়টাকে। ওখানকার অধিকাংশ চিত্রনাট্যে চুমুর প্রয়োজনীয়তা থাকে। আমাদের এখানকার চিত্রনাট্যে এত বেশি থাকে না। আজকাল ওয়েব সিরিজ়ে সাহসী দৃশ্য থাকে। তবে আমাদের এই ছবিতে চুম্বনের দৃশ্যে একটা মিষ্টতা রয়েছে। পরমদার সঙ্গে আমি সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছি তা নয়। ওই পরিস্থিতিতে চুম্বনের প্রয়োজনীয়তা ছিল। সেই কারণেই সে দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি হয়েছি আমি। বনির বুঝতে, গ্রহণ করতে সময় লেগেছে অবশ্যই। তবে আমার মনে হয়, এখন ও অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে। ঘরে ফেরার পর তো আমরা দু’জন অন্য সাধারণ প্রেমিক-প্রেমিকার মতোই। প্রেমিকা সিনেমার জন্য নায়ককে চুমু খেলে প্রভাব তো পড়বেই। ওই দৃশ্য দেখাও খুব চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়।

প্রশ্ন: যদি উল্টোটা হত?

কৌশানী: আমার জায়গায় বনি যদি চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করত তা হলে আমার উপর প্রভাব পড়ত কোনও না কোনও ভাবে। সঙ্গী হিসাবে মানসিক প্রভাব পড়েছিল বনির, কিন্তু সহ-অভিনেতা হিসাবে আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি।

প্রশ্ন: নন্দিতা-শিবপ্রসাদ আর সৃজিত। পার্থক্য কোথায়?

কৌশানী: ‘বহুরূপী’র সেটে আমি খানিকটা ঝিমলি হয়ে যেতাম। তার পরে নন্দিতাদি-শিবুদা যে ভাবে বলত অভিনয় করতাম। সৃজিতদার ক্ষেত্রে নিজের মতো করে চরিত্র হয়ে ফ্লোরে যাওয়া যাবে না। পুরোটাই সৃজিতদার উপর ছেড়ে দিতে হবে।

প্রশ্ন: সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা কেমন?

কৌশানী: সৃজিতদা মনিটরে বসলে একটা আলাদা মানুষ। শট শেষে দুপুরের খাবার টেবিলে একটা অন্য মানুষ। ওর কাজের দিকটা জাদুর মতো। সকলে বলে, সৃজিতদা সেটে খুব কড়া। যখন-তখন চেঁচামেচি করে। আমি ওই কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই সচেতন ছিলাম আমার কাজ নিয়ে। আমি সৃজিতদাকে আগেই বলে রেখেছিলাম, তোমাকে তো চেঁচামেচি করা থেকে আটকানো যাবে না। তুমি যদি পারো আলাদা করে বোলো আমাকে। আমি এমন প্রস্তুতি নিয়ে, সুরক্ষা নিয়ে সেটে গিয়েছিলাম, আমার উপর চিৎকার করতে হয়নি সৃজিতদাকে।

প্রশ্ন: আর পরমব্রত?

কৌশানী: এই ছবিতে পরমদা অভিনেতা হলেও কোথাও না কোথাও ওর পরিচালক সত্তাও প্রকাশ পাচ্ছিল। কোনও দৃশ্যে আমার অভিনয় নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছিল। আমার এতে খানিকটা সুবিধা হয়েছিল। আমিও পরমদাকে জিজ্ঞেস করেছি, আমার এই দৃশ্যটা কেমন লাগল ইত্যাদি।

প্রশ্ন: সৃজিতের ছবিতে কাজ করতে গিয়ে কী কী ছাড়তে হয়েছিল?

কৌশানী: ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্র ‘পূর্ণা’কে সৃজিতদা যে ভাবে চাইবে আমাকে সে ভাবেই তুলে ধরতে হবে, আমি নিজে থেকে কিছু করব না, এমনটাই ভেবেছিলাম। সৃজিতদা সেটে এটা চায় মানে এটাই চায়। ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্রটির অনেকগুলো পর্যায়, অনেক অনুভূতি ধরা দিয়েছে। কখনও অবসাদ, কখনও প্রেম, কখনও বিয়ে, কখনও বাঁচার ইচ্ছে চলে যাওয়া। প্রায়শই ভেঙে পড়া, ট্রমায় থাকা। সেই এক একটা অনুভূতি সূক্ষ্ম ভাবে তুলে ধরা সহজ ছিল না। সৃজিতদার কথামতো এই দেড় মাস আমি সমাজমাধ্যম থেকে দূরে রেখেছিলাম নিজেকে। পার্টিতে যেতাম না। নিজেকে ওই চরিত্রের মধ্যেই ধরে রাখতে চাইতাম। আমার ব্যক্তিজীবনে সব থেকে বড় ট্রমা আমার মায়ের মৃত্যু। সেটা মাথায় রেখে অনেক দৃশ্যে দুঃখ, ব্যথা ফুটিয়ে তুলেছি।

প্রশ্ন: প্রতিটা দৃশ্যের পর সৃজিত আপনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, এত ভাল করেছেন?

কৌশানী: হ্যাঁ।

প্রশ্ন: সৃজিতের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে? নায়িকা-পরিচালকের রসায়ন কেমন?

কৌশানী: ২০ দিন ধরে একটা ছবির শুটিং চলে। ইউনিটের সকলে একে অপরকে এত কাছ থেকে দেখে এমনিই একটা সমীকরণ তৈরি হয়ে যায়। আমি মনে করি, অভিনেতার সঙ্গে পরিচালকের অবশ্যই একটা সমীকরণ থাকা উচিত। আমার আর শিবুদার একটা ম্যাজিক্যাল সমীকরণ রয়েছে, যেটা পর্দায় রসায়ন ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

সৃজিতদার কথায় ফিরে আসি। এখন ওর সঙ্গে আমার যে সমীকরণ, ওকে আমি বন্ধুর মতো সব কিছু খোলাখুলি বলতে পারি। আমার কাজের ক্ষেত্রে ওর পরামর্শ নিতে পারি। কাজ করতে করতেই এই বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গেল।

প্রশ্ন: এতে তো সমালোচনাও হয়?

কৌশানী: রসায়ন যখন তৈরি হয়েছে, কথা তো হবেই। যেখানে মানুষটা সৃজিত মুখোপাধ্যায়, এত রোমাঞ্চকর একটা মানুষ। এ সব গুঞ্জন নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই।

প্রশ্ন: সৃজিতের পোষ্য সাপেদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে?

কৌশানী: আমি দর্শন পেয়েছি। সৃজিতদার অফিসে, বাড়িতে ওয়ার্কশপ করতে গিয়েছি যখন, তখন তেনাদের দেখেছি। আমি সৃজিতদাকে বলেছিলাম, সৃজিতদা আমি ‘কিলবিল সোসাইটি’ ছবিতে সই করেছি, ‘খতরোঁ কা খিলাড়ি’তে নয়। যাদের যেখানে থাকার কথা তারা সেখানে থাকলেই ভাল। আমি বললাম, ওদের জঙ্গলে ছেড়ে এসো। আমার ঘাড়ের উপর ফেলে দিয়ো না! এ রকম অদ্ভুত শখ দেখিনি কারও। সংখ্যায় তারা ২২! ভাবা যায়! এ দিক- ও দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে!

প্রশ্ন: সৃজিতকে নিয়ে আলাদা কোনও উপলব্ধি?

কৌশানী: সৃজিতদা হয়তো সঙ্গ পছন্দ করে, বন্ধুত্বের সঙ্গ। এক জন পুরুষ মানুষ মহিলা সঙ্গ পছন্দ করবে সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেই পুরুষের উপর পুরোপুরি দোষারোপ করলে তো হবে না। সেই মহিলার উপরও নির্ভর করে কোথায় সীমারেখা টানা হচ্ছে। তবে সৃজিতদার মনটা খুব বড়। মানুষ হিসাবে অসাধারণ সৃজিতদা।

প্রশ্ন: সৃজিত তো রূপটান পছন্দ করেন না?

কৌশানী: মেকআপ ছাড়া আমি বাইরে বেরোতে পারি। কিন্তু ভুরু আঁকা আর লিপস্টিক দেওয়া আমার চাই। ও সেটাও করতে দেয়নি। ঘুম থেকে উঠলে একটা মেয়েকে যেমন লাগে, চুল উস্কোখুস্কো, এই ছবিতে আমার লুকটা ঠিক সেই রকম। একেবারে ‘নো মেকআপ’ লুক।

প্রশ্ন: মুম্বইয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে?

কৌশানী: নিশ্চয়ই। আমি অডিশনও দিতে থাকি। সম্প্রতি ‘খাকি’তে একটি চরিত্রের জন্য বলা হয়েছিল আমাকে। তার পর আর সেটা হয়নি। বাজেটের জন্য হয়তো, আমি ঠিক জানি না।

প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন মুখ স্থায়ী হচ্ছে না কেন?

কৌশানী: পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে সমতা নেই। এক জন অভিনেত্রীর কতটা পারিশ্রমিক পাওয়া উচিত, সেটাই তো নির্ধারিত নয়। আমি একটা কাজ কম টাকার জন্য না করলে অন্য আরও দশ জন অভিনেত্রী অনেক কম টাকায় সেই কাজ করে দিতে রাজি হয়ে যাবেন, এই যে অসাম্য, এটা তো কাজের মানকে নষ্ট করছে। এ বার আমি যদি একা এটা নিয়ে আওয়াজ তুলি তা হলে কিছুই পরিবর্তন আসবে না।লাইমলাইটে থাকার জন্য যা পাব সেই ছবিই করব, এই ভুল ভাবনা থেকেও হারিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।

প্রশ্ন: সমাজমাধ্যম কতটা প্রভাব ফেলছে?

কৌশানী: আজকাল তো ইউটিবাররাও নিজেদের অভিনেতা বলে। কারণ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজেদের ছবির প্রচারের জন্য এই ইউটিউবারদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। আমাদের জীবনে সমাজমাধ্যম এত বড় জায়গা নিয়ে নিয়েছে। মার্কেটিং পলিসিও বদলে গিয়েছে। এখন সকলেই অভিনেতা-অভিনেত্রী!

Koushani Mukherjee Srijit Mukherji Parambrata Chatterjee Killbill Society Interview

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}