ইউক্রেনে পুতিনের গণভোটের বিরোধিতায় বাইডেন সরকার। ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাশিয়ায় সংযুক্ত করার উদ্যোগের বিরোধিতা করল আমেরিকা। জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘জাল গণভোটের অছিলার ইউক্রেনের জমি দখলের এই প্রচেষ্টা বিশ্ব বুঝতে পেয়েছে। রাশিয়ার মুখোশ খুলে গিয়েছে।’’
ইউক্রেনের ডনেৎস্ক ও লুহানস্কের (একত্রে এই দুই অঞ্চলকে ডনবাস বলা হয়) পাশাপাশি গত সপ্তাহে জ়াপোরিজিয়া ও খেরসনের অধিকৃত অঞ্চলে গণভোট করিয়ে সেগুলিকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির ঘোষণা করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। মস্কোর দাবি, ওই চারটি অঞ্চলেরই ৮০ শতাংশের বেশি অধিবাসী রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পক্ষে মত দিয়েছেন। ২০১৪ সালে দক্ষিণ ইউক্রেনের ক্রাইমিয়াতে একই কায়দায় গণভোট করিয়ে দখল নেয় রাশিয়া।
আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলিও ইতিমধ্যেই ক্রেমলিনের এই তৎপরতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘‘ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ দখলদারি কখনওই আন্তর্জাতিক বৈধতা পাবে না।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জও ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা বিশ্ব মানচিত্রের এই ভাবে বদলকে স্বীকৃতি দেবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বৃহস্পতিবার বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন এই গণভোটকে স্বীকৃতি না দেন।
প্রসঙ্গত, জ়েলেনস্কির অনুগত বাহিনীর প্রত্যাঘাতে সম্প্রতি দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউক্রেনে দখল করা বেশ কিছু এলাকা রাশিয়ার হাতছাড়া হয়েছে। খেরসন, জ়াপোরিজিয়া এবং ডোনেৎস্কের একাংশও রয়েছে এই তালিকায়। এর পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গণভোটের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলিতে দখলদারিকে বৈধতা দিতে সক্রিয় হয়েছেন। শুক্রবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন তিনি। মস্কোর তরফে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে রুশ ভূখণ্ডের অংশ ওই অঞ্চলগুলি দখলের চেষ্টা হলে প্রয়োজনে পরমাণু হামলা চালানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy