Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Russia

Russia Ukraine Conflict: রাশিয়ার প্রথম লক্ষ্য আমি, দু’নম্বর আমার পরিবার, তবু পালাব না: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

শুক্রবার একটি ভিডিয়োবার্তায় ভোলোদিমিরকে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাশিয়া চায় আমাকে শেষ করে আমার দেশকে রাজনৈতিক ভাবে নিঃস্ব করে দিতে।’’

ভ্লোদোমির জেলেনস্কি।

ভ্লোদোমির জেলেনস্কি।

সংবাদ সংস্থা
মস্কো, কিভ শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:২৪
Share: Save:

শত্রুর ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাবেন না। বরং তাঁর সৈন্যদের মনোবল বাড়াতে দেশেই থাকবেন। জানিয়ে দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও তিনি নিশ্চিত, রাশিয়ার সেনাদের প্রধান লক্ষ্য তিনিই এবং তাঁকে পরাভূত করেই ইউক্রেনের রাজনৈতিক ক্ষমতা শেষ করে দিতে চায় পুতিনের বাহিনী।

শুক্রবার একটি ভিডিয়োবার্তায় এ কথা জানিয়েছেন ভোলোদিমির। তাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাশিয়ার এক নম্বর লক্ষ্য আমিই। দু’নম্বরে রয়েছে আমার পরিবার। রাশিয়া চায় আমাকে শেষ করে আমার দেশকে রাজনৈতিক ভাবে নিঃস্ব করে দিতে। কিন্তু আমি পালাব না। এখানেই থাকব। যেখানে আমার সেনারা প্রতি মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করছে।’’

ইউক্রেনের রাজধানী কিভে নিজের বাসভবনেই রয়েছেন ভোলোদিমির। এ দিকে শুক্রবার ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে গতিতে রাশিয়া এগোচ্ছে তাতে কিভে পৌঁছতেও খুব বেশি দিন সময় লাগার কথা নয়।

সে ক্ষেত্রে ভোলোদিমিরের অনুমান সত্যি হলে খুব শীঘ্রই প্রেসিডেন্টের ভবন ঘেরাও করতে পারে রাশিয়ার সেনা। তাদের বাধা দেওয়ার জন্য বিদেশি শক্তির সাহায্যও পাবে না ইউক্রেন। কারণ আমেরিকা এবং তার নেটো বাহিনী জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি ইউক্রেনকে সাহায্য করবে না। শুধু অস্ত্র এবং অন্য সামগ্রী সরবরাহ করে সমর্থন করবে। এই পরিস্থিতিতে ‘শত্রু দেশ’ রাশিয়া সত্যিই যদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর পরিবারের উপর চড়াও হয়, তবে তার পরিণাম কী হতে চলেছে তা নিয়ে আশঙ্কিত ইউক্রেনের বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিপুল ভোটে জিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদাভিষিক্ত হন ভোলোদেমির। তার আগে ইউক্রেনের টিভির জনপ্রিয়তম কৌতুকশিল্পী ছিলেন তিনি। শোনা যায় ভোলোদেমিরই ইউক্রেনের প্রথম প্রসিডেন্ট যিনি বলেছিলেন, প্রকাশ্যে তাঁর ছবি টাঙানোর প্রয়োজন নেই। ভোলোদেমিরের সমর্থকরা বলছেন, যুদ্ধের সময় পালিয়ে না গিয়েও দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। কেন না এর আগে সেনা অভ্যূত্থান এবং গৃহযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের প্রধানদের অনেককেই প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে।

ভিডিয়োবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি যেখানে আছেন, সেখানেই থাকবেন। রাশিয়ার সেনা হামলায় ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের শ’য়ে শ’য়ে সেনা এবং সাধারণ মানুষ মারা পড়েছেন। তবে তিনি জানেন, ইউক্রেন যত আক্রান্ত হবে ততই রাশিয়া এবং বাকি দুনিয়ার মাঝামাঝি একটি অভেদ্য লৌহ কপাট নেমে আসবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE