রুশ বাহিনীর রোষানল থেকে থেকে বাঁচতে লাখোলাখো ইউক্রেনীয় প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, কেউ আবার রোমানিয়া, কেউ স্লোভাকিয়াতে গিয়ে ঠাঁই নিচ্ছেন। তাঁদেরই দলের এক জন এই শিশু ও তার পরিবার।
কাঁদতে কাঁদতে হেঁটে চলেছে ইউক্রনেীয় শিশু। ছবি সৌজন্য টুইটার।
এই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ঠিক পৌঁছে যাব! কিন্তু কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে তা পুরোপুরি বুঝে ওঠার ক্ষমতা নেই সেই একরত্তির। তবে সে এটুকু বুঝতে পারছিল যে বাড়ি, যে ঘরে তার শৈশব একটু একটু করে বেড়ে উঠছে, যে পাড়া, বন্ধু নিয়ে তার ছোট্ট সংসার, সেই সংসার ছেড়ে আপাতত অন্য কোনও ঠিকানাই এখন তাদের গন্তব্যস্থল।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে একটি শিশুর ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, আপাদমস্তক গরম পোশাকে ঢাকা একটি শিশু টলমল পায়ে হাঁটছে। এক হাতে খেলনার একটি ব্যাগ। অন্য হাতে একটি চকোলেট। তার পিছনে বেশ কিছু হাত দূরে কয়েক জন বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে হেঁটে হেঁটে এগিয়ে আসছে।
Excruciating pic.twitter.com/PIutGEIN0F
— Josh Campbell (@joshscampbell) March 7, 2022
হাঁটতে হাঁটতেই অঝোরে কেঁদে চলেছে শিশুটি। মা এগিয়ে গিয়েছে। তাঁর পিছু পিছু নিজের শৈশবের জিনিস আঁকড়ে হাঁটছিল সে। নিজের দেশ ইউক্রেন ছেড়ে ক্লান্ত অবসন্ন শরীরে তারা পৌঁছেছে পোল্যান্ডে। সে দেশেরই মেডিকা নামক একটি স্থানের এই ভিডিয়ো বলে দাবি করা হচ্ছে।
রুশ বাহিনীর রোষানল থেকে থেকে বাঁচতে লাখোলাখো ইউক্রেনীয় প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, কেউ আবার রোমানিয়া, কেউ স্লোভাকিয়াতে গিয়ে ঠাঁই নিচ্ছেন। তাঁদেরই দলের এক জন এই শিশু ও তার পরিবার।
দু’দিন আগে এমনই আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। মা-বাবাকে ছেড়ে ইউক্রেনের জ্যাপোরিঝিয়া শহর থেকে এক হাজার কিমি পাড়ি দিয়ে স্লোভাকিয়ায় পৌঁছয় ১১ বছরের এক কিশোর। ইউক্রেন সরকার জানিয়ে দিয়েছে ১৮-৬০ বছর বয়সি কেউ দেশ ছাড়তে পারবেন না। তাই ছেলেকে রুশ হানা থেকে বাঁচাতে একাই ছেড়ে দেন ওই কিশোরের বাবা-মা। পিঠে একটা ব্যাগ, হাতে বাবা-মায়ের ফোন নম্বর লেখা। এই নিয়েই সুদূর স্লোভাকিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দেয় কিশোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy