রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ ও ওই রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াল রাশিয়া। ফলে কূটনৈতিক ভাবে ভারত অনেকটাই স্বস্তি পেল বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
আজ রুশ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের মর্যাদার পরিবর্তন এবং ওই রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ভাঙার সিদ্ধান্ত ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করব, ভারত ও পাকিস্তান ওই অঞ্চলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় এমন কোনও পদক্ষেপ করবে না। শিমলা চুক্তি ও লাহৌর ঘোষণাপত্র মেনে দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো হবে।’’ অন্য একটি রাষ্ট্রের বিবৃতিতে শিমলা চুক্তি ও লাহৌর ঘোষণাপত্রের উল্লেখ তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি কূটনীতিকদের।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর থেকেই ভারতকে কূটনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা শুরু করেছে পাকিস্তান। আমেরিকা পাকিস্তানকে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিলেও সে ভাবে দিল্লির পাশে দাঁড়ায়নি। উল্টে সম্প্রতি কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে চেয়ে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কূটনীতিকদের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য পাকিস্তানের সাহায্য প্রয়োজন আমেরিকার। তার বদলে পরোক্ষ ভাবে হলেও ইসলামাবাদকে কিছুটা সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। লাদাখ নিয়ে ক্ষুব্ধ চিনও ভারতের সমালোচনা করেছে। এই পরিস্থিতিতে রুশ সমর্থন ভারতের হাতকে অনেকটাই শক্ত করল বলে মনে করা হচ্ছে। কূটনীতিকদের মতে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক স্থায়ী সদস্যের সমর্থন কূটনৈতিক যুদ্ধের সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কেবলমাত্র চিনের বাধায় দীর্ঘদিন জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy