শি জিনপিংয় এবং ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স।
নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে না এলেও ইউক্রেনে যুদ্ধের আবহেই চিন সফরে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, অক্টোবরে বেজিংয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। পুতিনের ওই সফরে রাশিয়া-চিন দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে মস্কো সফরে গিয়েছিলেন জিনপিং। ঠিক তার পরেই পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত। বলা হয়েছিল, আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত যে কোনও দেশে পা রাখলেই পুতিনকে গ্রেফতার করা হবে। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণেই গত অগস্টে ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা) রাষ্ট্রগোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে পুতিন গরহাজির ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরোয়ানা জারির পরে এই প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন পুতিন।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো-বেজিং সখ্য ভাল ভাবে দেখছে না আমেরিকা। কয়েক মাস আগেই জো বাইডেন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, চিন কোনও ভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ালে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের পাশে সর্বশক্তি দিয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা এবং নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। ইউক্রেনের রাজধানী কিভে গিয়ে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এই আবহে চিন, রাশিয়ার পাশে দাঁড়ালে বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ সরাসরি যুদ্ধে নেমে পড়বে কি না, সেই আশঙ্কাও ঘনাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। আশঙ্কা উস্কে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব, পুতিন-ঘনিষ্ঠ নিকোলাই পাত্রুসেভ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘পশ্চিমী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে শামিল হবে রাশিয়া এবং চিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy