Advertisement
E-Paper

Russia-Ukraine Conflict: খারকিভে জয় ইউক্রেনের, চাপে রাশিয়া

ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পিছু হটে শুধুমাত্র পূর্ব ইউক্রেন দখলে নজর দিয়েছিল মস্কো। মারিয়ুপোল ছাড়া অন্য কোনও বড় শহর কব্জা করতে পারেনি তারা।

 ইউক্রেনের খারকিভ জয়

ইউক্রেনের খারকিভ জয় ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ০৭:৫২
Share
Save

যুদ্ধক্ষেত্রে এখনও একাই লড়ছে ইউক্রেন। কিন্তু রাশিয়ার জন্য লড়াইটা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পিছু হটে শুধুমাত্র পূর্ব ইউক্রেন দখলে নজর দিয়েছিল মস্কো। কিন্তু তাতেও মারিয়ুপোল ছাড়া অন্য কোনও বড় শহর কব্জা করতে পারেনি তারা। ডনেৎস্ক ও লুহানস্কের ছোট ছোট অঞ্চল ধরে আগ্রাসন শুরু করে তারা। তার পরে উত্তর-পূর্বের বড় শহর খারকিভ দখলে নামে। কিন্তু ফের ব্যর্থতা। খারকিভের যুদ্ধ জিতে গিয়েছে ইউক্রেন। শহরের মেয়র ইহর তেরেকোভ জানিয়েছেন, সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাশিয়া। ঘরছাড়া বাসিন্দারাও ফিরতে শুরু করেছেন। এ দিকে, যে নেটোকে ঠেকানো তাদের যুদ্ধ-শুরুর অন্যতম কারণ ছিল, আরওই আড়েবহরে বাড়তে চলেছে তা। রাশিয়ার চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই।
সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের নেটোয় যোগ দেওয়ার কথা চলছে। তারা সেই পদক্ষেপ করলে যে পরিণতি ভাল হবে না, তা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই পরিস্থিতিতে এই দুই দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রায় গোটা ইউরোপ। বিশেষ করে ব্রিটেন। ফিনিশ প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসতো আজ ফোন করে পুতিনকে জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাঁরা নেটোয় যোগ দেওয়ার আবেদন জানাবেন। তিনি পুতিনকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইউক্রেনে যে ভাবে আগ্রাসন চালিয়েছে রাশিয়া, তাতে ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। নিনিসতো বলেন, ‘‘সরাসরি ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। যা বলার সোজাসুজি জানিয়েছি। কোনও অতিরিক্ত কথা নয়। উত্তেজনা বাড়ানো কাম্য নয়।’’
নেটোয় যোগ দেওয়া নিয়ে রাশিয়া দীর্ঘ সময়কাল ধরে তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্ক করে এসেছে। ১৯৪৯ সালের তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে এই পশ্চিমি সামরিক জোট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ক্রমেই তার আকার বেড়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর অন্যতম কারণ ছিল, দেশটির নেটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ। কিন্তু তা ঠেকাতে গিয়ে এখন আরও দুই রাষ্ট্র এই জোটে নাম লেখাতে চলেছে। যা খবর, তাতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন, দুই দেশই নেটোয় যোগ দেবে।
এ দিকে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির জোট জি-৭ ঘোষণা করেছে, রুশ আগ্রাসনের ফলাফল হিসেবে মস্কো ইউক্রেনের নতুন সীমান্তরেখা দেখাতে চাইলে, তারা সেই মানত্য দেবে না। জি-৭-এর সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের পরে আজ একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘সেনা পাঠিয়ে ইউক্রেনের সীমান্ত বদলের চেষ্টা করছে রাশিয়া। কিন্তু আমরা তাদের সেই প্রচেষ্টাকে কিছুতেই মান্যতা দেব না। ইউক্রেনের একতা ও সার্বভৌমত্বের সমর্থনে তাদের পাশে থাকব। ক্রাইমিয়া-সহ তাদের সমস্ত অংশের একতাকে সমর্থন জানাই আমরা।’’ এ-ও জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে জি-৭-এর তরফে আরও সামরিক সাহায্য পাঠানো হবে ইউক্রেনকে। জি-৭-এর মধ্যে রয়েছে কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন ও আমেরিকা। এক সময়ে এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিল রাশিয়াও। কিন্তু ২০১৪ সালে ইউক্রেনের হাত থেকে ক্রাইমিয়া ছিনিয়ে নেওয়ার পরে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

Kharkiv Russia Ukraine Russia Ukraine War

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}