Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Rishi Sunak

বিদেশ সফরে অসঙ্গত আচরণ, কাঠগড়ায় ব্রিটিশ এমপি-রা, উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী সুনক

রিপোর্টে সামনে আসে যে, বিদেশ সফরে এমপি-দের উদ্দাম যৌনতা এবং মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সরকারের কয়েক জন প্রবীণ সদস্য।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। — ফাইল চিত্র।

লন্ডন শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৪৬
Share: Save:

বিদেশ সফরে ব্রিটিশ এমপি-দের আচরণের অসঙ্গতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। বিভিন্ন দলের পার্লামেন্টের সদস্যদের নিয়ে গঠিত প্রতিনিধি দলের বিদেশ সফরে ঘিরেই যাবতীয় অভিযোগ। এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিদেশে যৌনকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটান বহু ব্রিটিশ এমপি। এর পাশাপাশি এমপি-রা বিপুল পরিমাণ মদ্যপানও করেন বলে অভিযোগ।

ওই রিপোর্টে সামনে আসে যে, বিদেশ সফরে এমপি-দের উদ্দাম যৌনতা এবং মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সরকারের কয়েক জন প্রবীণ সদস্য। এর পরেই উদ্বিগ্ন সুনক বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেন। ওই এমপি-দের আচরণের অসঙ্গতি সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণও জোগাড় করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, কনজ়ারভেটিভ পার্টির এক প্রাক্তন এমপি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে গিয়ে খোঁজ করেছিলেন, নিকটবর্তী যৌনপল্লী কোথায়? এক প্রাক্তন মন্ত্রীর বিদেশ সফরেও একই ধরনের অভিযোগ ওঠে। লেবার পার্টির এক এমপি-র বিরুদ্ধে আবার রুশ মহিলাদের প্রতি তীব্র অনুরাগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্য একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, কয়েক জন এমপি এমন সব পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তরুণ-তরুণীদের নিয়ে আসা হয়েছিল যৌন চাহিদা পূরণের জন্য।

সুনকের দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপস’ (এপিপিজিএস) আয়োজিত বিদেশ সফর ঘিরেই যাবতীয় অভিযোগ। তাই বিষয়টি সরকারের নয়, পার্লামেন্টের এক্তিয়ারভুক্ত। তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ থাকছেই। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দলের এমপি ও তাঁদের সঙ্গীদের নিয়ে গঠিত এপিপিজিএস বহু বিষয় নিয়ে নানা দেশে প্রচার চালায়। ৭০০-রও বেশি এপিপিজিএস রয়েছে।

এই এপিপিজিএস-এর কার্যকলাপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। সাধারণত, বিদেশ সফরকারী ব্রিটিশ এমপি-দের থাকা-খাওয়া-সহ আতিথেয়তার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার কিংবা কোনও নির্দিষ্ট সংস্থা। এমন গুরুত্বপূর্ণ সফরে এহেন অভিযোগে ব্রিটেনেরই মর্যাদাহানি করেছে বলে মনে করেন অনেকে।

সুনকের দফতরের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি রিপোর্ট নজরে এসেছে। তার মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এমপি-দের আচরণ অত্যন্ত উদ্বেগের। এর পরেই তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, জনগণের স্বার্থে এমপি-দের কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি-ই যাবতীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। আমাদের স্কুলের উন্নতি কিংবা রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যও কাজ করেন তাঁরা।” তবে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে, উদ্বেগ সেই নিয়েই। একটি কমিটি এপিপিজিএস-এর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।

সংবাদ সংস্থা

অন্য বিষয়গুলি:

Rishi Sunak British Prime Minister
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE