যত বেশি আলো, তত বেশি অন্ধকার! পূর্ণিমায়।
গত ৩০ বছরে সে আর কখনও আমাদের এতটা কাছে আসেনি। তাই আর ১২ দিন পর তাকে আমরা যতটা ঝকঝকে দেখব, ততটা উজ্জ্বল আমরা তাকে গত তিন দশকে দেখিনি।
আর সেদিনই সে প্রায় সওয়া এক ঘণ্টা আপাদমস্তক ডুবে থাকবে অতল অন্ধকারে। তার পূর্ণগ্রাস।
সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখে। ভারতীয় সময় রাত ৯টা ৭ মিনিট থেকে ৭টা ১১ মিনিট পর্যন্ত। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
চাঁদ-সূর্যের ‘পূর্ণগ্রাস গ্রহণ’ তো হয়েই থাকে। নাসা বলছে, কিন্তু আর ১২ দিন পর আকাশে আমরা যাকে দেখব, সেই ‘সুপার মুন’ দেখার সুযোগ আমরা পাই খুব কম। আর একই দিনে ‘সুপার মুন’ আর ‘পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ’-এর ঘটনাকে বিরলই বলা যায়। যা গত ৩০ বছরে ঘটেনি। গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ছায়ার ‘আড়াল’ থেকে বেরিয়ে আসা চাঁদের উজ্জ্বলতা হবে নজরকাড়া। ৩০ শতাংশ বাড়বে উজ্জ্বলতা। ১৪ শতাংশ বেশি বড় দেখাবে চাঁদকে।
এর আগে একশো বছরে আমরা এই সুযোগ পেয়েছিলাম মাত্র পাঁচ বার। ১৯১০, ১৯২৮, ১৯৪৬, ১৯৬৪ আর ১৯৮২ সালে। এই সুযোগ আবার পাব ১৮ বছর পর-২০৩৩ সালে।
চাঁদ কেন সব সময় এতটা ঝকঝকে হয়ে আসে না আমাদের কাছে?
কারণ, পৃথিবীকে তার উপগ্রহটি চক্কর মারে একটা ডিমের মতো পথে। চারপাশে ঘুরতে-ঘুরতে কখনও চাঁদ আসে আমাদের কাছে। কখনও দূরে চলে যায়। ২৩ সেপ্টেম্বর আসবে আমাদের সবচেয়ে কাছে, যাকে বলে ‘পেরিজি’।
একটাই আক্ষেপ, কলকাতা দেখতে পাবে না এই বিরল ঘটনা! দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy