এই বিরল প্রজাতির কুকুরের ডাক এমনই যা শুনে মনে হবে যেন গান করছে। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
নিউ গিনি সিঙ্গিং ডগ। এই নামেই চেনেন সারমেয়প্রেমীরা। এই বিরল প্রজাতির কুকুরের ডাক এমনই যা শুনে মনে হবে যেন গান করছে। এই প্রজাতির কিছু কুকুর অল্প সংখ্যায় বিভিন্ন চিড়িয়াখানা বা সংরক্ষণ কেন্দ্রে থাকলেও বন্য এলাকা থেকে তারা অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলেও মনে করা হত। কিন্তু সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ার অরণ্যে ওই কুকুরের প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। সেই বিষয়টি সোমবার প্রকাশিত হয়েছে একটি বিজ্ঞান জার্নালে।
সারা বিশ্বের বিভিন্ন চিড়িয়াখানা ও সংরক্ষণ কেন্দ্র মিলিয়ে ২০০টির মতো সুরেলা কুকুর রয়েছে পৃথিবীতে। ১৯৭০-এর পর স্বাভাবিক বাসস্থানে এদের আর দেখা যায়নি। প্রায় ৫০ বছর পর প্রাকৃতিক বাসস্থানে ফের দেখা গেল ওই বিরল প্রজাতির কুকুরদের।
নিউ গিনি হাইল্যান্ড ওয়াইল্ড ডগ ফাউন্ডেশনের গবেষক দল ২০১৬-তে পাপুয়ার পুনকাক এলাকায় একটি গবেষণামূলক অভিযানে গিয়েছিল। সেখানে নিউ গিনি সিঙ্গিং ডগের স্বর শুনতে পান। তা শুনেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ চালাতে শুরু করেন তাঁরা। এর দু’বছর পর ওই এলাকায় গিয়ে নিউ গিনি সিঙ্গিং ডগের মতো স্বরযুক্ত কুকুরদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন।
সেই নমুনা থেকে জিন পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখেন নিউ গিনি সিঙ্গিং ডগের সঙ্গে এদের জিনের প্রচুর মিল রয়েছে। ভিন্ন প্রজাতির সঙ্গে প্রজননের পর দেহের আকৃতিগত পরিবর্তন ঘটলেও বাদ বাকি জিন হুবহু এক। এই বিষয়টি নিয়ে নিউ গিনিয়া হাইল্যান্ড ওয়াইল্ড ডগ ফাউন্ডেশনের গবেষক হেইদি পার্কার বলেছেন, ‘‘আমরা দেখেছি নিউ গিনি সিঙ্গিং ডগ ও হাইল্যান্ড ওয়াইল্ড ডগের জিমোন বিন্যাসে প্রচুর মিল রয়েছে। আমরা ভেবেছি ওই প্রজাতির অবলুপ্তি ঘটেছে। কিন্তু বাস্তবে তারা এখনও অবলুপ্ত হয়নি।’’ নিউ গিনি সিঙ্গিং ডগ থেকেই যে হাইল্যান্ড ওয়াইল্ড ডগের উৎপত্তি, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত গবেষকরা।
আরও পড়ুন: স্ত্রী সাপের জন্য মারামারি দুই পুরুষ পাইথনের! ভাঙল বাড়ির সিলিং
আরও পড়ুন: কুকুরের গায়ে বাঘের মতো রং! অপরাধীকে খুঁজে শাস্তির দাবি নেটদুনিয়ায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy