Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Railway Project

১৮ মাসে ৫ বছর, লাইন পাতা চলছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রেল লাইনও বসে গিয়েছে বলে জানালেন ভারতের রেল মন্ত্রকের অধীনস্থ ইরকন ইন্টারন্যাশনাল-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সন্তোষকুমার সাহু।

Representation Image of an incomplete railway work

প্রতীকী ছবি।

বাপী রায়চৌধুরী
গঙ্গাসাগর (বাংলাদেশ) শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ০৮:০৬
Share: Save:

কথায় বলে ১৮ মাসে বছর। আগরতলা-আখাউড়া রেল যোগাযোগের কাজ ১৮ মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ-পাঁচটি বছর অতিক্রান্ত। এখনও লাইন পাতা বাকি আড়াই কিলোমিটার অংশে।

আগরতলা থেকে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রেল সংযোগ হয়েছে বহু দিন হল। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রেল লাইনও বসে গিয়েছে বলে জানালেন ভারতের রেল মন্ত্রকের অধীনস্থ ইরকন ইন্টারন্যাশনাল-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সন্তোষকুমার সাহু। তিনি জানান, এর পরে বাংলাদেশের অংশে মাত্র আড়াই কিলোমিটার রেললাইন পাতার কাজ বাকি। তা হলেই সম্ভব হবে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়ায় রেল যোগাযোগের।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ প্রকল্পটির সূচনা করেছিলেন।১৮ মাসে কাজটি শেষ করার কথা ছিল। প্রতি বারেই ১৮ মাস করে, এখনও পর্যন্ত চার বার এই কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বাংলাদেশের অংশে। চলতি মাসে চতুর্থ দফার সময়সীমাও শেষ হবে। ইরকন এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের দাবি, চতুর্থ দফার মেয়াদের মধ্যে, অর্থাৎ এ মাসেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাঁর মতে, বাকি থাকা আড়াই কিলোমিটার রেললাইন পাতার কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে। গঙ্গাসাগরের অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগের ভবনটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। তিনি জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এই প্রকল্পটি দেখে গিয়েছেন। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।

আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার ডুয়াল গেজ রেললাইন বসানো হয়েছে। বাংলাদেশের অংশে ছয় কিলোমিটার এবং প্রায় চার কিলোমিটার আগরতলা অংশে। জানা গিয়েছে, শুরুতে এই প্রকল্প পনেরো কিলোমিটারের ছিল। পরে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা কমানো হয়েছে। তবে, তাতেও কাজেগতি বাড়েনি।

এই আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইন নিয়ে ত্রিপুরার মানুষের উৎসাহ খুবই। এই উৎসাহের কারণ এই লাইনটি চালু হলে দুই দেশেরমধ্যে সম্পর্ক ও বাণিজ্য বাড়বে। সেই সঙ্গে, ভবিষ্যতে আগরতলা থেকে কলকাতা অনেক কম সময়ে যাওয়া যাবে। কিন্তু এখন ১৮ মাসের কাজ প্রায় পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। শুধু তাই নয়, এই মাসেওকাজ শেষ হবে কি, তা নিয়ে অনেকেই বেশ সন্দিহান।

অন্য বিষয়গুলি:

Railway Project Agartala Akhaura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE