ফাইল ছবি।
গোটা বিশ্ব যখন করোনার দুঃস্বপ্ন যথাসম্ভব ভুলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে মরিয়া, তখন চিনের বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাইয়ে সপ্তাহভর লকডাউনের থাবা। ওমিক্রন রূপের দাপটে ফের ঘরবন্দি জনজীবন। বৃহস্পতিবার সাংহাইয়ে ২১ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এ ভাবে লকডাউন করে কত দিন চলবে? সেই প্রশ্নের উত্তর নেই চিনের লাল শাসকের কাছে। যদিও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘কোভিড জিরো’ নীতিরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ সে দেশের সংবাদমাধ্যম।
করোনা অতিমারি শুরুর পর, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে লকডাউন জারি হয়েছিল। কিন্তু অতিমারি শুরুর দু’বছর পেরিয়ে আসার পর দেখা যাচ্ছে, লকডাউন করেও পুরোপুরি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোখা তো যায়ইনি, উল্টে অর্থনীতি থেকে ব্যক্তি জীবন, ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল সব ক্ষেত্রেই।
টিকা আবিষ্কারের পর প্রথম বিশ্বের অধিকাংশ দেশ দ্রুত টিকাকরণ অভিযান চালিয়ে লকডাউনের থাবা কেটে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। ঠিক উল্টো পথের যাত্রী চিন। সেখানে শুরু থেকেই সরকার ‘কোভিড জিরো’ নীতিতে চলছে। যে নীতিতে লকডাউন অপরিহার্য। কিন্তু উহান থেকে করোনা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র সাংহাইয়ে সরে আসার পর লকডাউনের অনিবার্য প্রভাব দেখা যাচ্ছে ঝড়ের গতিতে উন্নয়নের পথে দৌড়নো চিনের অর্থনীতিতেও। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সাংহাইয়ে লকডাউন। এর ফলে এক দিকে থমকে গিয়েছে কাজকর্ম, অন্য দিকে বাড়ছে মানুষের অসন্তোষ। প্রভাবিত হচ্ছে অর্থনীতি।
সাংহাইয়ের বাসিন্দাদের একটি অংশের দাবি, কড়া লকডাউন তুলে দিয়ে টিকাকরণে জোর দিক সরকার। চিন সে দেশে তৈরি টিকা বহুল পরিমাণে ব্যবহার করছে, যার ভেদশক্তি স্বীকৃত অন্যান্য টিকার চেয়ে কম বলে আমেরিকার বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের দাবি। পাশাপাশি টিকার বণ্টনের ক্ষেত্রেও অসাম্য থেকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে বয়স্কদের টিকাকরণে তেমন সাফল্য এখনও আসেনি। ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের ফলে বয়স্করা এমনিতেই অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থানে থাকছেন। ওমিক্রন এতই ছোঁয়াচে যে, বাড়িতে বয়স্ক কেউ আক্রান্ত হলেই, তা বাড়ির অন্যদের সংক্রমিত করছে। ফলে লকডাউন করেও সেই অর্থে সংক্রমণে লাগাম পরানো যাচ্ছে না। স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে পড়েছে শি-র ‘কোভিড জিরো’ নীতি। কিন্তু তা মানতে নারাজ সরকার। সরকারি সংবাদপত্রে তাই শি-র নীতিরই ঢালাও প্রশংসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy