বিক্ষোভকারীকে গুলি পুলিশের। সোমবার হংকংয়ে। রয়টার্স
সপ্তাহ শেষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ল সপ্তাহ শুরুর দিনেও। আজ সেই বিক্ষোভে ফের চলল গুলি। পুলিশের গুলিতে এক প্রতিবাদকারীর গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনায় সকাল থেকে আরও এক বার উত্তাল হংকং। একই সঙ্গে আজ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বেজিংপন্থী এক ব্যক্তি। দু’জনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
এই নিয়ে তিন বার বিক্ষোভ চলাকালীন গুলি চালাল হংকংয়ের দাঙ্গা দমনকারী পুলিশ। প্রথম গুলি চলেছিল, গত ১ অক্টোবর। চিনের জাতীয় দিবস পালনের দিন। তিন দিনের মাথায়, ৪ অক্টোবর আর এক বিক্ষোভকারীর পায়ে গুলি করে পুলিশ। আজ ২১ বছরের এক ছাত্রের বুকে গুলি লেগেছে। তাঁকে খুবই কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই যুবকের রাস্তায় পড়ে থাকার ছবি ভাইরাল হয়েছে। চাপ চাপ রক্তের পাশেই বিক্ষোভকারীরা লিখে রেখেছেন, ‘আমরা কোনও মতেই আত্মসমর্পণ করব না’।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, আহত বিক্ষোভকারীর জরুরি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক। ওই ছাত্রের গুলি লাগার খবর চাউর হতেই বিক্ষোভের মাত্রা বাড়তে থাকে হংকং জুড়ে।। রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ করেন গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীরা। সেই অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় মুখোশধারী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। ভারী জিনিস ফেলে বাস ও অন্য যানবাহন চলাচলের রাস্তা আটকান বিক্ষোভকারীরা। সোমবারের কর্মব্যস্ত দিনে অফিস যেতে নাজেহাল হন সাধারণ হংকংবাসী।
উত্তর-পূর্ব হংকংয়ের সাই ওয়ান হো-তে গোলমালের সূত্রপাত। অবরুদ্ধ রাস্তা সাফ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে ওই বিক্ষোভকারীর। পরে এক পুলিশ অফিসার নিজের সার্ভিস রিভলবার বার করে ওই যুবকের বুকে গুলি করেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক কলেজে বিক্ষোভ সামলাতে দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে পুলিশকে। ব্যবহার করতে হয়েছে জলকামানও।
আজই মা অন শান এলাকায় এক দল বিক্ষোভকারীর সঙ্গে বচসার জেরে গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি চিনের সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাঁকে বলে শোনা গিয়েছে, ‘তোমরা কেউ চিনা নও’। বিক্ষোভকারীরা তাঁকে মূল চিনা ভূখণ্ডে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার পরেই গায়ে আগুন দেন ওই ব্যক্তি। তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হংকংয়ের কার্যনির্বাহী প্রশাসক ক্যারি ল্যাম। বিক্ষোভকারীদের প্রতি তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘কোনও ভাবেই আপনাদের দাবি মানা হবে না’। বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের পরেও যে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভকারীরা এখনও লড়ছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল ল্যামের ইস্তফা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy