হ্যারি-মেগান
এক বিয়ের জন্য অন্তত তিনটি পার্টি। নয়তো আমেরিকা এবং ব্রিটেন মিলিয়ে সব পরিজন, বন্ধুবান্ধবকে আমন্ত্রণ তালিকায় ধরানো অসম্ভব! ব্রিটিশ রাজকুমার হ্যারি এবং তাঁর বাগদত্তা মেগান মার্কলের বিয়ের আর মাত্র তিন মাস বাকি। আয়োজনে কোনও ফাঁক যাতে না থাকে, তার জন্য পূর্ণ উদ্যমে শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের প্রস্তুতি।
নিমন্ত্রিতের তালিকায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তাঁর স্ত্রী মিশেল থাকলেও আমন্ত্রিত নন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেগানের টেলি দুনিয়া-র বেশ কয়েক জন বন্ধুবান্ধবও আসবেন। এই তালিকায় ভারত থেকে ডাক পেয়েছেন তাঁর বন্ধু প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
১৯ মে বিয়ে। কেনসিংটন প্যালেস এ বার বিয়ের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ্যে আনছে। ওই দিন দুপুরবেলা উইনসরে সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে চার হাত এক করবেন আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবেরি, জাস্টিন ওয়েলবি। অনুষ্ঠান শুরু দুপুর ১২টায়। এক ঘণ্টায় সব হয়ে যাওয়ার কথা। তার পর শহরের রাজপথের বিভিন্ন প্রান্ত ছুঁয়ে যাবে নবদম্পতির ঘোড়ার গাড়ি। ফিরে আসবে ফের উইনসর কাস্ল-এ। সাধারণ জনতা রাস্তার দু’পাশ থেকে অভিবাদন জানাতে পারবেন তাঁদের। যেমনটা এর আগেও রাজপরিবারের বিভিন্ন বিয়েতে হয়েছে। ব্যতিক্রম হয়নি হ্যারির দাদা উইলিয়ামের ক্ষেত্রেও। যে ঘোড়াগাড়িতে মা ডায়ানা উঠেছিলেন, উইলিয়ামের মতোই হ্যারি মেগানকে নিয়ে উঠবেন সে গাড়িতে।
মেগান বিবাহবিচ্ছিন্ন হওয়া সত্ত্বেও হ্যারিই আধুনিক রাজপরিবারে প্রথম ব্যক্তি, যিনি ‘চার্চ অব ইংল্যান্ড’-এ বিয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। হ্যারির বাবা যুবরাজ চার্লস ক্যামিলাকে বিয়ের সময়ে উইনসরের টাউন হলে সাধারণ বিয়ে করেছিলেন। পরে আশীর্বাদ পান সেন্ট জর্জেস চ্যাপেল থেকে।
বিয়ের দিন ঘোড়ার গাড়িতে ফেরার পরে সেন্ট জর্জেস হল-এ রিসেপশন। ধরে নেওয়া হচ্ছে, রাজপরিবারের একেবারে ঘনিষ্ঠ সদস্য এবং বন্ধুরা থাকবেন এখানে। ২৪০-৩০০ জন। তার পর সন্ধের অনুষ্ঠানের আগে ছোট বিরতি। নবদম্পতিকে বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া হবে। সন্ধের অনুষ্ঠানে দু’টি ভাগ। সাড়ে তিনশো অতিথিকে নিয়ে প্রথমে ঘরোয়া নৈশভোজ। তার পর রাতে ‘হুইস্কি বার’-সহ ভোজসভা যেখানে থাকবেন ৫৫০-৬০০ অতিথি। এই ভোজেই থাকবেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া-সহ মেগানের বন্ধুরা। ভারতের ৭০ তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা এর আগেও বাকিংহাম প্যালেসের তরফে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। সে বার তিনি যেতে পারেননি কারণ অস্কারের মঞ্চে পুরস্কার দেওয়ার ভার এসেছিল প্রিয়ঙ্কার কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy