নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী। ছবি: সংগৃহীত
পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় আজ, শনিবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নয়া অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী। নতুন বছরের প্রথম দিনেই ওই অধিবেশন বসবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
নেপালে গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে হাওয়া বুঝতে গোড়া থেকেই তৎপর চিন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির ভাঙন রুখতে চার সদস্যের একটি দলকে কাঠমান্ডুতে পাঠাচ্ছে তারা। নেপালের একটি সংবাদপত্রের দাবি, রবিবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক দফতরের ভাইস-মিনিস্টার কুয়ো ইয়েচোউয়ের নেতৃত্বে দলটির কাঠমান্ডুতে পৌঁছনোর কথা। নেপালের উপরে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম রাখতেই চিনের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কাঠমান্ডুর চিনা দূতাবাস এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।
সম্প্রতি চিনের রাষ্ট্রদূত হোউ ইয়ানছি দেখা করেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবীর সঙ্গে। দলের একাংশের সঙ্গে দীর্ঘ রাজনৈতিক চাপানউতোরের পরে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী ভোটের দিকে দেশকে ঠেলে দিয়েছিলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। প্রধানমন্ত্রী ওলির সুপারিশে গত রবিবার নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে ভোটের সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট ভান্ডারী। তবে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১২টি আবেদন জমা পড়ে। শুক্রবার এ বিষয়ে ওলিকে শো-কজ় নোটিস পাঠিয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুক্রবারই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।
ওলির সিদ্ধান্তের পরে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। পুষ্পকমল দহল (প্রচণ্ড) গোষ্ঠীতে থাকা নেপালের সাত মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy