ছবি: রয়টার্স।
অভিযোগের আঙুলটা ছিলই। আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের যাত্রিবাহী বিমানের দুর্ঘটনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত কাল আচমকা ক্ষমা চেয়ে বসায় আরও জোরালো হয়েছিল সেই অভিযোগ। এ বার আজ়ারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বললেন, ‘‘আমরা স্পষ্ট বলতে পারি, রাশিয়া ওই বিমানটিকে গুলি করে নামিয়েছে। সেটা ইচ্ছাকৃত ছিল বলছি না— কিন্তু এটা হয়েছে।’’ গত কয়েক দিন মস্কো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় বলেও তাঁর অভিযোগ।
বড়দিনের দিন ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে আজ়ারবাইজানের বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রজ়নি শহরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানটি। কাজ়াখস্তানের আকতাউতে জরুরি অবতরণের সময়ে সেটি ভেঙে পড়লে ৩৮ জন মারা যান। আহত হন ২৯ জন। দেশের সরকারি চ্যানেলকে আলিয়েভ এ দিন বলেছেন, ‘‘বিমানটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। তার কারণ হল, বৈদ্যুতিন যুদ্ধ।’’ অর্থাৎ অস্ত্রের আঘাত শুধু নয়, প্রাযুক্তিক কৌশলে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ বা দিকনির্দেশ ব্যবস্থাকেও বাইরে থেকে অকেজো করে দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই চর্চা উস্কে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। আলিয়েভের কথায়, ‘‘রুশ কর্তাদের হরেক ব্যাখ্যায় আমি বিস্মিত, ক্ষুব্ধ। প্রথম তিন দিনে রাশিয়ার তরফে বিভ্রান্তিকর বয়ান ছাড়া কিছু শুনিনি।’’ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি সূত্রের দাবি, ভুলবশত রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হেনেছিল বিমানটিতে। ক্রেমলিন সরাসরি দায় না নিলেও এক বিবৃতিতে বলেছিল, ওই দুর্ঘটনার সময়েই গ্রজ়নি, মোজ়ডক এবং ভ্লাডিকাভকাজ়ে হামলা চালাচ্ছিল ইউক্রেনের ড্রোন। রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তা প্রতিহত করছিল। আরও বলা হয়, রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটা এই ‘দুঃখজনক’ ঘটনার জন্য পুতিন ক্ষমাপ্রার্থী।
আলিয়েভ বলেছেন, তাঁদের তিন দফা দাবির প্রথমটিই হল রাশিয়ার ক্ষমাপ্রার্থনা। পুতিন তা করেছেন। কিন্তু এ বার রাশিয়াকে দোষ স্বীকার করতে হবে। দোষীদের সাজা এবং আজ়ারবাইজান সরকার, বিমানযাত্রী ও কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এখন দেখার, পুতিন বাকি দুই দফা দাবিও মানেন কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy