প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণের উপরে জোর দিচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্র। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের পক্ষে প্রতিষেধক নেওয়া কতটা নিরাপদ, সেটা নিয়ে ধন্দ রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি)-এর পরামর্শ, ‘‘প্রতিষেধক নিরাপদ, নির্দ্বিধায় নিন।’’
সিডিসি-র ডিরেক্টর রোচেল ওয়ালেন্সকি হোয়াইট হাউসের এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘প্রতিষেধক নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা চলেছে। কোথাও কোনও চিন্তার কিছু দেখা যায়নি। সাত থেকে ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা, এমন ৩৫ হাজার মহিলার উপরে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। প্রতিষেধক নিয়ে মা কিংবা সন্তান, কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।’’
তবে যে হেতু বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর, তাই ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরও পরামর্শ নিতে বলছেন ওয়ালেন্সকি। তিনি জানান, প্রাথমিক ট্রায়ালে যে হেতু অন্তঃসত্ত্বাদের উপরে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি, তাই একটা ধন্দ তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা, মেডিক্যাল গ্রুপ বিভিন্ন রকম নির্দেশিকা দিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সে সব পরস্পর-বিরোধীও।
সিডিসি যেমন গোড়ার দিকে জানিয়েছিল, সন্তানসম্ভবা মহিলারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই প্রতিষেধক নেবেন। ‘আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনেকোলজিস্টস’ জানিয়েছিল, কোনও ভাবেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ভ্যাকসিন নেওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। ও দিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছিল, প্রবল ঝুঁকি না-থাকলে গর্ভবতী মহিলাদের যেন কোভিড প্রতিষেধক দেওয়া না হয়।
কিন্তু মার্চ মাসে একাধিক দেশের গবেষণাপত্রের ফল খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনস’-এ। সিডিসি-র অ্যাপ থেকে নেওয়া ওই সব নথিপত্রে দেখা গিয়েছে: ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেশ কয়েক হাজার অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জটিল কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। অন্যদের যা হয়েছে, এ ক্ষেত্রেও একই প্রতিক্রিয়া। শুধুমাত্র মাথা ঘোরা ও বমি ভাব একটু বেশি।
ও দিকে, জনসন অ্যান্ড জনসন-এর প্রতিষেধক নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এটিতেও রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল বেশ কিছু। ইউরোপের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা খুবই কম ঘটছে। প্রায় বিরল। সে তুলনায় উপকার অনেক বেশি। এক ডোজের ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছে আমেরিকাও। শুক্রবার এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে শোনা গিয়েছে। মডার্নার ভ্যাকসিন গুণাগুণ খতিয়ে দেখছে হু। জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া টিকার তালিকায় সেটিকে রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আজকালের মধ্যেই। পৃথিবীকে করোনামুক্ত করতে দ্রুত টিকাকরণ প্রয়োজন। আর তার জন্য একাধিক নিরাপদ ও কার্যকরী প্রতিষেধক হাতে আসা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy