আর পোষাচ্ছিল না। মন উঠে গিয়েছিল। ঘুরিয়ে তাই আর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করার প্রয়োজন মনে করেননি বলে জানালেন গত মার্চে বরখাস্ত হওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল প্রীত ভারারা।
সূত্রের খবর, তাঁকে ছেঁটে ফেলার ঠিক দু’দিন আগে হোয়াইট হাউস থেকে একটা ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল, তিনি যেন প্রেসি়ডেন্টের সঙ্গে কথা বলে নেন। কিন্তু ফোন করেননি ভারারা। বরং বরখাস্ত হওয়ার পর টুইটারে জানান, ইস্তফা দিতে রাজি না হওয়ার কারণেই ছেঁটে ফেলা হয়েছিল তাঁকে। অথচ আগে এই ট্রাম্পই তাঁকে চাকরিতে বহাল থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাতে রাজিও হয়েছিলেন ভারারা। বরখাস্ত হওয়ার দু’মাস পরে যদিও বলছেন, ‘‘বারাক ওবামা হোক বা ডোনাল্ড ট্রাম্প— প্রেসিডেন্টের সেবা করাটা আমার কাজ ছিল না।’’
কিন্তু হঠাৎ কেন উনি ট্রাম্পের প্রতি এতটা বিরাগভাজন হলেন? এর উত্তর দিতে গিয়ে ভারারা জানান, নয়া প্রেসিডেন্টের দ্বিচারিতাটাই তাঁর সহ্য হচ্ছিল না। তাঁর কথায়, ‘‘প্রচারের সময় বারবার উনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন এবং সেই সময়কার অ্যাটর্নি জেনারেল লরেটা লিঞ্চের ‘আঁতাঁত’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। তাঁদের সখ্যের পিছনে প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনের ই-মেল কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে বলেও ইঙ্গিত করেন। এ দিকে আবার নিজে প্রেসিডেন্ট হয়ে আমাকে রেখে দিতে চাইছিলেন। ফোন করতে বলেছিলেন।’’ এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠত বলেও মন্তব্য করেন ওবামা আমলে নিযুক্ত আর ট্রাম্প জমানায় বরখাস্ত হওয়া দুঁদে অ্যাটর্নি জেনারেল।
অন্য দিকে, আজ মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ এবং বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগের দাবিও তোলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy