ইরোটিক ছবিগুলোর সঙ্গে অডিয়ো-বিশ্লেষণেরও বন্দোবস্ত করেছে পর্নহাব। ছবি: সংগৃহীত।
কালজয়ী শিল্পীদের আঁকা ইরোটিক ছবি নকল করার অভিযোগে আইনি ঝামেলায় পড়ল পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট পর্নহাব। ওই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকল প্যারিসের ল্যুভ্ মিউজিয়াম। ল্যুভ ছাড়াও ইতালি এবং লন্ডনের বিভিন্ন শিল্প সংগ্রহশালাও একই অভিযোগ এনেছে পর্নহাবের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি তাদের বেশ কিছু ভিডিয়োয় ল্যু্ভ ও অন্যান্য শিল্প সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত বিশ্বখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ইরোটিক পেন্টিং হুবহু নিজেদের অ্যাপে তুলে ধরে পর্নহাব। সে সব ধ্রুপদী ছবিগুলির অনুকরণে পর্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ব্যবহার করে সেগুলির ‘জীবন্ত নকল’ তৈরি করে পর্নহাব। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে জীবন্ত মডেল ব্যবহার করে বিশ্বখ্যাত চিত্রকলা বা ভাস্কর্যের প্রতিরূপ নির্মাণ একটা বিশেষ ‘ট্রেন্ড’। এই প্রবণতাকে ঘিরে মাঝে মাঝেই উদ্যাপিত হয় বিভিন্ন 'চ্যালেঞ্জ'। নেটমাধ্যমে এ ভাবেই উঠে এসেছে দা ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’, বতিচেল্লির ‘ভেনাসের জন্ম’-এর মতো ছবির জীবন্ত প্রতিরূপ। ইউটিউবেও লভ্য এই ধরনের পুনর্নির্মাণের ভিডিয়ো। বলাই বাহুল্য, সেই পথেই হেঁটেছে পর্নহাব। তবে তাদের উদ্দেশ্য একেবারেই আলাদা।
কানাডীয় ওয়েবসাইট পর্নহাবের দাবি, বিশ্ববিখ্যাত ইরোটিক পেন্টিংগুলির অন্তর্নিহিত বিষয়বস্তু সহজে বোঝাতেই এই উদ্যোগ। এ কাজে ওই ইরোটিক ছবিগুলোর সঙ্গে অডিয়ো-বিশ্লেষণের বন্দোবস্ত করেছে পর্নহাব। যদিও ল্যুভ্-এর পাল্টা দাবি, এ কাজের জন্য তাঁদের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি পর্নহাব। এতেই চটেছেন ল্যুভ্ কর্তৃপক্ষ। ইটালির ফ্লোরেন্সের উফিজি মিউজিয়াম এবং লন্ডনের ন্যাশনাল গ্যালারি ফর আর্ট-ও একই অভিযোগ করেছে পর্নহাবের বিরুদ্ধে। তাদের মতে, এতে মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করেছে পর্নহাব। ওই ছবিগুলোকে নিজেদের অ্যাপ থেকে সরানোর দাবি করেছে ল্যুভ্। ল্যুভ্ ছাড়াও পর্নহাবের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে ইটালির উফিজি মিউজিয়াম। যদিও পর্নহাবের দাবি, শিল্পকর্মে নগ্নতা মানেই যে তা যৌনউদ্দীপক, তেমনটা নয়। যদিও তাদের নির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে সেই সব ধ্রুপদী ছবিই, যেগুলির মধ্যে যৌন উদ্দীপনার ইশারা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy