(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির জ়েলেনস্কি ও নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।
শুক্রবার ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত তিন দশকে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন সফর। বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডে এক বৈঠক শেষে ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। সাত ঘণ্টার জন্য থাকবেন কিভে। তবে কিভে পৌঁছনোর জন্য মোদীকে ২০ ঘণ্টার ট্রেন সফর করতে হবে।
মোদীকে নিয়ে সফর করে চলা ট্রেনের নাম ‘রেল ফোর্স ওয়ান’। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইউক্রেনের আকাশ এখন বিপজ্জনক। আকাশপথে বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ। ফলে বিমানে চেপে কিভে পৌঁছনোর উপায় নেই। এই অবস্থায় ইউক্রেনের কূটনৈতিক পরিবহণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেল পথই। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে সব থেকে নিরাপদ পরিবহন এই ‘রেল ফোর্স ওয়ান’।
এই ট্রেনটিকে বলা হয় ‘লৌহ কূটনীতি’। ইউক্রেন রেলের সিইও আলেকজ়ান্ডার কামিশিন প্রথম এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছিলেন। মোদীর আগেও আরও অনেক রাষ্ট্রনেতা এই ট্রেনে সফর করেছেন। তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক-সহ আরও অনেকে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জ়েলেনস্কি যখনই কোনও বিদেশ সফরে যান, এই ট্রেনই ব্যবহার করেন।
শুনতে ট্রেন যাত্রা হলেও, এই ট্রেনের ভিতরে যা রয়েছে তা কোনও বিলাসবহুল বিমানের থেকে কম নয়। যেহেতু জ়েলেনস্কি ও ইউক্রেন সফরে যাওয়া রাষ্ট্রনেতারা এই ট্রেনটি ব্যবহার করেন, তাই বিশেষ ভাবে তৈরি এই ট্রেনে রয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাই প্রোফাইল যাত্রীর যাত্রা সুখকর করতে ঢালাও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কাঠের প্যানেল-সহ কেবিনে বিশ্রাম করতে পারবেন যাত্রীরা। বৈঠক করার জন্য রয়েছে প্রশস্ত টেবিল। ট্রেনে সোফা, টিভি ছাড়াও ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক বিছানাও উপস্থিত।
২০১৪ সালে মূলত পর্যটকদের জন্য চালু হয় এই ট্রেন। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রনেতা ও কূটনীতিকদের ইউক্রেন যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হয় ‘রেল ফোর্স ওয়ান’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy