(বাঁ দিক থেকে) জ়েলেনস্কি এবং মোদী। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
ইউক্রেন যদি আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোতে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া থেকে সরে আসে তবে মস্কো যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে পারে বলে বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই আবহেই জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালি গিয়ে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সংঘাতে ইতি টানতে ভারতের তরফে প্রয়োজনীয় প্রয়াস নেওয়া হবে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদী। প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর জাপানে জি৭ বৈঠকে গিয়েও জ়েলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন মোদী। বলেছিলেন, “আমি মনে করি না, এটি (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) কোনও রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক বিষয়। আমার কাছে এটি মানবিকতার বিষয়। মানবিক মূল্যবোধের ব্যাপার।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পুতিনবাহিনীর হামলা শুরু ইস্তক রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে মস্কোর বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি নয়াদিল্লি। যদিও একাধিক বার প্রকাশ্যে যুদ্ধ বন্ধের জন্য সওয়াল করেছেন মোদী। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে প্রথম বার মুখোমুখি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই মোদী পুতিনকে বলেছিলেন, ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে পুতিন যে কারণগুলির উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল জ়েলেনস্কি সরকারের তরফে নেটোর সদস্যপদ লাভের চেষ্টা। যদিও এর আগেই ইউক্রেন বার্তা দিয়েছে, তারা সেই প্রচেষ্টা থেকে সরে আসতে রাজি। তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেতে চায় জ়েলেনস্কি সরকার। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার জি৭ বৈঠকে ইউক্রেনকে ৫,০০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি, আমেরিকার সঙ্গে ১০ বছরের নিরাপত্তা চুক্তি সই করেছেন জ়েলেনস্কি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy