তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন সেরে শুক্রবার রাতেই শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছিলেন তিনি। শনিবার রাজধানী কলম্বোর ঐতিহাসিক ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কোয়ারে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভ্যর্থনা জানালেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েক।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণবীর জয়সওয়াল শনিবার বলেন, ‘‘আমাদের দু’দেশের জনগণের ভবিষ্যৎ এবং পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারি গড়ে তোলার জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এগিয়ে চলছে।’’ তিন বছর আগে আর্থিক সঙ্কটে ধ্বস্ত শ্রীলঙ্কাকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল ভারত। নতুন সরকারের আমলে অর্থনীতির হাল কিছুটা ফেরায় এ বার মোদীর সফরে নয়াদিল্লি-কলম্বো বাণিজ্যিক সহযোগিতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে ‘জনতা বিমুক্তি পেরুমুনা’ (জেভিপি)-র নেতৃত্বাধীন বামপন্থী জোট ‘ন্যাশনাল পিপল্স পাওয়ার’ (এনপিপি)-এর ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম বার সফর মোদীর। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই নিয়ে চতুর্থ বার শ্রীলঙ্কায় গেলেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বাম নেতা অনুরা। এর পরে ডিসেম্বরে দিল্লি এসে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে শ্রীলঙ্কার মাটিকে ভারত-বিরোধী তৎপরতায় ব্যবহার না করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, তিন দিনের শ্রীলঙ্কা সফরে প্রতিরক্ষা, বিদ্যুৎক্ষেত্র, ডিজিটাল পরিকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির নানা ক্ষেত্র নিয়ে মোদী-অনুরা আলোচনা করবেন। ক্ষমতাসীন জেভিপি শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে ‘চিনপন্থী’ হিসাবেই পরিচিত। আশির দশকে নয়াদিল্লিকে ‘শ্রীলঙ্কার অন্যতম বড় শত্রু’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন জেভিপির প্রতিষ্ঠাতা রোহন উইজ়েভরা। ঘটনাচক্রে, গত তিন বছরে বিভিন্ন সময় শ্রীলঙ্কায় চিনা গুপ্তচর জাহাজের আগমন উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই আবহে মোদীর এই সফর কূটনৈতিক মহলে ‘অন্য মাত্রা’ পেয়েছে।