—প্রতীকী ছবি
সর্বপ্রথম ছাড়পত্র দিয়েছে ব্রিটেন। তার পর একে একে আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ বার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ছাড়পত্র দিল ফাইজ়ার-বায়োএনটেক কোভিড ভ্যাকসিনকে। হু-র সিদ্ধান্তে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষেধকটির ছাড়পত্র পাওয়া ও রফতানির পথ অনেকটাই সহজ হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
হু-র শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক মারিআঙ্গেলা সিমাও আজ বলেন, ‘‘বিশ্বে সর্বপ্রথম অনুমতি পেয়েছে ফাইজ়ারের টিকা। আজ হু-র ছাড়পত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে মানুষ যাতে ভ্যাকসিন পান, তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সদর্থক পদক্ষেপ।’’ কিন্তু একই সঙ্গে এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সিমাও, সর্বত্র টিকা পৌঁছতে হলে, যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন উৎপাদনও প্রয়োজন।
বড়সড় লক্ষ্যমাত্রা রাখছে সব দেশই। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করতে গিয়ে নাজেহাল হওয়ার শামিল। কারণ টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি মজবুত পরিকাঠামোও প্রয়োজন। এ নিয়ে ভুগতে হচ্ছে আমেরিকাকেও। ফাইজ়ারের টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার দিন আমেরিকা ঘোষণা করেছিল, ডিসেম্বরের মধ্যে ২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। ১৪ ডিসেম্বর টিকাকরণ শুরু হয়।, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ২৮ লক্ষ আমেরিকানকে ভ্যাকসিন দেওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের নিন্দা, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভস্মীভূত মন্দির ফের গড়বে পাক প্রশাসন
আরও পড়ুন: আমেরিকার সেনার উপর হামলায় আফগান জঙ্গিদের মদত চিনের
কারণ হিসেবে প্রশাসনের ব্যাখ্যা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টিকা পাঠাতেই দেরি হয়ে যাচ্ছে। সব চেয়ে ধীর গতিতে টিকাকরণ চলছে বৃদ্ধাবাসগুলিতে। এ ধরনের ‘কেয়ার হোম’-গুলিতে এখনও পর্যন্ত ২২ লক্ষ ডোজ় পাঠানো হয়েছে। টিকা দেওয়া গিয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার লোককে। ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ তাদের প্রকাশিত ডেটায় এই হিসেবই দিয়েছে। ফেডারেল অফিসারেরা জানাচ্ছেন, ২ কোটির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ফাইজ়ার ও মডার্নার ১ কোটি ৪০ লক্ষ ডোজ়ের শিপমেন্ট হয়েছে। কিন্তু ডিসেম্বরের গোড়ায় প্রশাসন দাবি করেছিল, ৪ কোটি ডোজ় সরকারের ঘরে রয়েছে। যার সাহায্য এই মাসেই ২ কোটি মানুষের টিকাকরণ হবে। বিশ্বের প্রথম সারির উন্নত দেশে যদি এই ছবি হয়, তা হলে গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় গোটা প্রক্রিয়াটি যে আরও জটিল হবে, তা নিয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞেরা। আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বলেছেন, ‘‘ফেডারেল সরকার প্রদেশগুলোকে টিকা বিতরণ করে দিয়েছে। এ বার ওদের দায়িত্ব।’’ বিভিন্ন প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, ‘‘ভ্যাকসিন বিতরণ প্রক্রিয়াটি জটিল। এতেও বড় অঙ্কের অর্থসাহায্য প্রয়োজন। কিন্তু ফেডারেল সরকার তা দিচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy