রানওয়ে-তে দাঁড়িয়ে বিমান। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বাইরে তাপমাত্রা -৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে রানওয়েতে আটকে বিমান। যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে বন্ধ উড়ান। তাতে নাজেহাল অবস্থা হল ২৫০ যাত্রীর। ঠাণ্ডায় জবুথবু অবস্থায় ১৬ ঘণ্টা বিমানে বসে রইলেন তাঁরা। তাও আবার অভুক্ত অবস্থায়। কানাডার গুজ় বে বিমানবন্দরে সম্প্রতি এমনই অভিজ্ঞতা হল বিমানযাত্রীদের।
গত শনিবারের ঘটনা। ২৫০ জন যাত্রী ও বিমানকর্মীদের নিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ৩টে নাগাদ নেওয়ার্ক থেকে হংকংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মার্কিন বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স-এর বিমানটি।
সন্ধের দিকে মাঝ আকাশে আচমকাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এক যাত্রী। বিপদ বুঝে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের গুজ় বে বিমানবন্দরে বিমানটির জরুরি অবতরণ করেন চালক। তড়িঘড়ি ওই অসুস্থ যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ঠিক তার পরই বিপত্তি বাধে।
Finally got off plane, got on a bus and now waiting to be taken to new rescue plane to fly back to Newark. 16hours since we landed in Goose Bay. pic.twitter.com/nBb0zKwOba
— SONJAY (@sonjaydutterson) January 20, 2019
এক বিমানযাত্রীর টুইট।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই মালদহে বিজেপিকে মিটিং-এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে: মমতা
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বিমানের দরজা আটকে যায়। কোনওভাবেই সেটি বন্ধ করা যায়নি। অন্য দিকে রাত হয়ে যাওয়ায় বিমানবন্দরে দরজা ঠিক করার কাউকে পাওয়া যায়নি। শুল্ক ও অভিবাসী আধিকারিকরা না থাকায় বিদেশি যাত্রীদের কানাডার মাটিতে নামানোর অনুমতিও মেলেনি। বাধ্য হয়ে বিমানের মধ্যেই রাত কাটাতে হয় যাত্রীদের। অন্য একটি বিমানে যাত্রীদের নেওয়ার্ক ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা উঠলেও, রাতের মধ্যে তার ব্যবস্থা করা যায়নি।
বিমানের দরজা খোলা থাকায় কনকনে ঠাণ্ডায় এমনিতেই জবুথবু অবস্থা হয়েছিল যাত্রীদের। তার মধ্যে আবার খাবার নিয়েও টানাটানি দেখা দেয়। টুকটাক বিস্কুট-চিপসের জোগান দিলেও, আড়াইশো যাত্রীর খিদে মেটাতে ব্যর্থ হন বিমানসেবিকারা। তাই অভুক্ত অবস্থাতেই রাত কাটে যাত্রীদের।
রবিবার সকালে দরজা সারানোর কাজ শুরু হয় বটে। তবে কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও সেটি ঠিক করা যায়নি। নেওয়ার্ক থেকে দ্বিতীয় বিমানটি এসে পৌঁছতে দুপুর গড়িয়ে যায়। যদিও বা এসে পোঁছয়, কিন্তু তাতে উঠেও খাবার পাননি যাত্রীরা। রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬টায় খালিপটেই নেওয়ার্ক ফিরে আসেন তাঁরা।
Hopefully they can fix it. pic.twitter.com/iKRB6TKxCP
— SONJAY (@sonjaydutterson) January 20, 2019
দরজা সারাইয়ের চেষ্টা চলছে তখনও।
আরও পড়ুন: দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সব গুণ রয়েছে মমতার মধ্যে, ফের বললেন কংগ্রেস-সঙ্গী কুমারস্বামী
গোটা ঘটনায় ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের উপরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা। জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে যথেষ্ট বন্দোবস্ত না থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকেই। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র ন্যাটালি নুনান গোটা ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিমান ভাড়া ফিরিয়ে দেওযার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy