সোমবার ছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর কাল, ৪৫। আজ তাপমাত্রার পারদ একলাফে কিছুটা নামলেও, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইসলামবাদ। পাক আবহাওয়াদফতর বলছে, এটা রেকর্ড। মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের গো়ড়ায় এমন তীব্র তাপপ্রবাহ আগে কখনও দেখেনি পাকিস্তান।
আবহবিদেরা বলছেন, দক্ষিণ পশ্চিম থেকে শুষ্ক বায়ুপ্রবাহের কারণেই এমন অস্বাভাবিক আবহাওয়ার শিকার ইসলামাবাদ, করাচি থেকে শুরু করে বালুচিস্তান ও সিন্ধ প্রদেশ-সহ দেশের একটা বড় অংশ। আজ আকাশে মেঘ দেখা দিলেও পাকিস্তানের একাংশে আগামী আরও কয়েক দিন তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রবিবার রাজধানীতে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল বলে খবর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই সময়ে এর আগে ২০০৫ সালে এমন তাপপ্রবাহের সাক্ষী হয়েছিল ইসলামাবাদ। পঞ্জাব প্রদেশ ও বালুচিস্তানে সোমবারও তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৪৬-৪৭ ডিগ্রির কাছাকাছি।
শুধু পাকিস্তান নয়, মার্চের শেষে রেকর্ড তাপমাত্রার শিকার ইরাক, কাতার, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তানের মতো অন্তত সাতটি দেশ। এই সময়ে ইরাকের তাপমাত্রা কখনই ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয় না বলে দাবি করেছেন আবহবিদেরা। গত বৃহস্পতিবার কিন্তু তা হয়েছে। এর আগে মার্চ শেষে রেকর্ড গরম পড়েছিল ২০১০ সালে— ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রেকর্ড তাপপ্রবাহে ভুগেছে চলছে কাতারেও। তবে তুলনায় কম— ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy