পাকিস্তানের মন্ত্রী শেখ রশিদ। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেদের সখ্য নিয়ে বারেবারেই মুখ খুলেছেন তালিবান নেতৃত্ব। পাকিস্তানকে নিজেদের দ্বিতীয় ঘর বলেও উল্লেখ করেছে তালিবান। এ বার পাকিস্তানের মন্ত্রী শেখ রশিদও এক টেলিভিশন শোয়ে মেনে নিয়েছেন— তালিবান নেতৃত্বের প্রকৃত অভিভাবক পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার!
তবে পাক মন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট, অতীতে যখন তালিবানের উপরে জঙ্গি তকমা ছিল, সেই সময়ে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ পাকিস্তানের তালিবান সখ্য নিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছিল, তাতে কোনও ভুল ছিল না। রশিদ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তালিবানের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে তাঁদের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা তালিবান নেতৃত্বের অভিভাবকসম। দীর্ঘদিন ধরে ওদের দেখাশোনা করেছি। ওদের ঘরবাড়ি, শিক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ওদের জন্য যা যা করা সম্ভব, সব কিছুই করা হয়েছে।’’
তালিবানের সুরে সুর মিলিয়ে গত সপ্তাহেই রশিদ জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত। কোনও রকম অতিরিক্ত সময় আমেরিকান বাহিনীকে দেওয়া উচিত নয় বলেও জানান।
ইতিমধ্যে তালিবানের হাতে রাজ্যপাট তুলে দিয়ে সেনা প্রত্যাহার করলেও তালিবানের কার্যকলাপ সম্পর্কে এখনও সংশয় রয়েছে আমেরিকার। আমেরিকান প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক মার্ক মাইলি পেন্টাগনে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘তালিবানের ভবিষ্যৎ কী, তা জানা নেই। কিন্তু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, অতীত থেকেই ওরা এক নির্মম গোষ্ঠী।’’ তালিবান নেতৃত্ব অবশ্য বার বার দাবি করেছেন, অতীতের থেকে অনেক বদল হয়েছে তাঁদের। কিন্তু সেই দাবি আদৌ সত্য কি না, তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে, মনে করেন ওই আমেরিকান আধিকারিক।
গত ২৮ অগস্ট পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও তালিবানের পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়নে এবং নতুন প্রশাসনের সাহায্যার্থে গঠনমূলক ভূমিকা গ্রহণ করবে ইসলামাবাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy