Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Tehrik-i-Taliban

শান্তি বৈঠক ব্যর্থ হতেই সীমান্ত পেরিয়ে তালিবান দমনে পাক সেনা! দাবি আফগান গোয়েন্দাকর্তার

সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া সেনা অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে নতুন করে সন্ত্রাস দমন অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ২২:০৫
Share: Save:

শান্তি আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে গত সপ্তাহে। তার পরেই আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেছে পাক সেনা। আফগান গোয়েন্দা বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান রহমতউল্লা নবিলের দাবি ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে তালিবান বিরোধী অভিযান শুরু করেছে পাক ফৌজ।

চলতি মাসেই টিটিপির সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করেছিল পাক সেনা এবং শাহবাজ শরিফের সরকার। ইসলামাবাদ ঘনিষ্ঠ আফগান তালিবান নেতা তথা আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হক্কানি এই শান্তি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি। এর আগে জুন মাসেও কাবুলে দু’পক্ষের শান্তি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে তিন মাসের সংঘর্ষ বিরতি নিয়েও দু’তরফের আলোচনা হয়েছিল।কিন্তু সম্প্রতি পাক সেনার তরফে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।

পাক সংবাদপত্র দ্য ডনের দাবি, সম্প্রতি পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া ২৫০ নম্বর কোরের কমান্ডার এবং অন্য অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে নতুন করে সন্ত্রাস দমন অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যকায় সক্রিয় তালিবানের আর এক গোষ্ঠী ‘তেহরিক-ই নিফাজ-ই শরিয়তি মহম্মদি’ (টিএনএসএম) গোষ্ঠীর সঙ্গে হক্কানিদের পুরনো শত্রুতা রয়েছে।

দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানেই একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ টিটিপি-র। বালুচিস্তান প্রদেশের উত্তরাংশেও তাদের প্রভাব রয়েছে। আমেরিকায় ড্রোন হামলায় নিহত জঙ্গিনেতা বায়তুল্লা মেহসুদ প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠী বরাবরই পাক সরকারের বিরোধী। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে শতাধিক পড়ুয়াকে খুন করেছিল টিটিপি জঙ্গিরা। এর আগে ২০০৯ সালে টিটিপি-র বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাহ-ই-নিজত’ করেছিল পাক সেনা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সেটিই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী সেনা অভিযান।

আফগানিস্তানের তালিবানের হয়ে লড়তে টিটিপি এবং টিএনএসএম-এর বহু জঙ্গি গত বছর সীমান্তের ওপারে পাড়ি দিয়েছিল। গত বছর অগস্টে কাবুল দখলের পরে আফগানিস্তানের জেলে বন্দি টিটিপি-র নেতা মৌলানা ফকির মহম্মদকে মুক্তি দিয়েছিল তালিবান। আফগান তালিবান নেতা তথা সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ইয়াকুবের নির্দেশেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল বলে পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি। প্রসঙ্গত, নেতৃত্বের প্রশ্নে হক্কানি গোষ্ঠীর সঙ্গে তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের ছেলে ইয়াকুবের দীর্ঘ দিন ধরেই বিরোধ রয়েছে। পূর্বতন আশরফ গনির সরকারের জমানায় আফগান গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান রহমতউল্লার দাবি, ইয়াকুবের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই আফগানিস্তানের মাটিতে ঢুকে টিটিপি বিরোধী অভিযান চালিয়েছে পাক সেনা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ ইয়াকুবপন্থী তালিবান গোষ্ঠীগুলি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy