পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি
করতারপুর কূটনীতি নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির ‘গুগলি’ মন্তব্যের জবাব গত কালই দিয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ। আজ জবাবে কুরেশি জানালেন, শিখ আবেগকে টেনে তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে ওই মন্তব্যটি করেছিলেন।
শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য করতারপুর করিডর খোলার ব্যবস্থা করে ভারতকে সংঘাতের পথ থেকে পুরোপুরি সরানো গিয়েছে বলে দাবি করেছিল পাকিস্তানের নানা শিবির। পরে বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, ‘‘ইমরানের গুগলির ফলে করতারপুরের অনুষ্ঠানে দুই ভারতীয় মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।’’
গত কাল জবাবে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘‘এই মন্তব্য করে পাক বিদেশমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁদের কাছে শিখদের আবেগের কোনও মূল্য নেই। তাঁরা কেবল গুগলি দেওয়াতেই বিশ্বাস করেন। জেনে রাখুন আমরা আপনাদের গুগলির ফাঁদে পড়িনি। আমাদের দুই শিখ মন্ত্রী গুরুদ্বারে প্রার্থনা জানাতে গিয়েছিলেন।’’
আজ পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘শিখ আবেগের কথা টেনে আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
আমি ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে ওই মন্তব্যটি করেছিলাম।’’ তবে ভারত যে সন্ত্রাসে পাক মদত নিয়ে প্রশ্ন তোলা বন্ধ করবে না তা এ দিনও স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জয়পুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন রয়েছে সন্ত্রাস নিয়ে। আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাই, আপনারা প্রয়োজনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সাহায্য নিতে পারেন।’’
অন্য দিকে করতারপুর সফরের জেরে ক্রমশই আরও বেশি বিতর্কের জালে জড়াচ্ছেন পঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোত সিংহ সিধু। পাকিস্তান থেকে ফেরার পরে তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘অমরেন্দ্র সিংহের ক্যাপ্টেন রাহুল গাঁধী। আমার ক্যাপ্টেনও রাহুল গাঁধী।’’ এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি ‘ক্যাপ্টেন’ অমরেন্দ্র সিংহের নেতৃত্বে বিশ্বাস নেই সিধুর? এই বিতর্কের জেরে অমরেন্দ্রর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য সিধুর
উপরে চাপ দিতে শুরু করেছেন পঞ্জাবের একাধিক মন্ত্রী। আজ সিধুর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী নভজ্যোত কৌর। সিধুর স্ত্রীর দাবি, ‘‘নভজ্যোতজি বার বার বলেছেন যে তিনি ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহকে বাবার মতো শ্রদ্ধা করেন। ক্যাপ্টেন সাহেবের সম্মানের চেয়ে বড় আর কিছু নেই। সিধুর পুরো মন্তব্য শোনা প্রয়োজন। কিছু কিছু অংশ শুনে মন্তব্য করা ঠিক নয়।’’ তবে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশের প্রশ্ন, অমরেন্দ্রকে যদি সিধু শ্রদ্ধাই করেন তবে তাঁর নিষেধ না মেনে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy