দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনিসে গুঁড়িয়ে গিয়েছে বহুতল। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়ায় একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। চারদিকে শুধু ধ্বংসের ছবি। বহুতলগুলি গুঁড়িয়ে গিয়েছে। তার নীচে চাপা পড়ে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার কোনও হিসাব নেই। প্রাণ বাঁচাতে গাজ়া ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। আহতদের এবং ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা লোকজনকে উদ্ধারের কাজ চলছে সমানতালে।
তেমনই একটি বহুতলে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছিল। ১৩ তলার সেই বাড়িটি রকেট হামলায় গুঁড়িয়ে যায়। সেই ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকে আছেন কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছিল উদ্ধারকারী দল। তখনই তাঁরা একটি দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন। কংক্রিটের বড় বড় চাঙড় সরাতেই উদ্ধারকারীরা দেখেন, এক মহিলা নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন। তাঁর পাশেই শোয়া একটি শিশু। সে তার মায়ের স্তন্যপান করছে। এই দৃশ্য দেখে উদ্ধারকারী দলের অনেকেই কেঁদে ফেলেন।
হামাসের হামলায় ইজ়রায়েলে ১৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কয়েক হাজার। অন্য দিকে, ইজ়রায়েল গাজ়া ভূখণ্ডে হামলা চালানোয় ১৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহমেদ নামের এক ব্যক্তি দাবি করেন, যে বহুতল থেকে মহিলার দেহ এবং এক শিশু উদ্ধার হয়েছে, ওই বহুতলের ১৩ তলায় তাঁর বোন থাকতেন। বোনের খোঁজেই তিনি এসেছিলেন। কিন্তু দেখেন যেখানে বহুতলটি ছিল, সেটি পুরো গুঁড়িয়ে গিয়েছে। আহমেদ জানান, তাঁর ভাগ্নে ইয়ামিনের বয়স এক মাস। মেনিনজাইটিসের জন্য দু’দিন আগেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আহমেদের বোনের মৃত্যু হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে বেঁচে গিয়েছে তাঁর ভাগ্নে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy