ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাস ও ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ (ওবর) প্রকল্প নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, পাকিস্তানে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল ধ্বংস করার জন্য ইসলামাবাদকে নানা ভাবে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। সেইসঙ্গে তারা জানিয়েছে, চিনের ‘ওবর’ প্রকল্প বিতর্কিত এলাকার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এই ধরনের প্রকল্প নিয়ে কোনও একটি দেশের একতরফা মনোভাব নেওয়া উচিত নয়।
সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জিম ম্যাটিস। তখন দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার নানা দিক নিয়ে ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। মার্কিন কংগ্রেসের একটি শুনানিতে ম্যাটিস বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে বুঝতে হবে সময় বদলেছে। এ বার সে দেশে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল ধ্বংস করে ফেলতে হবে।’’
ম্যাটিসের কথায়, ‘‘পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে জঙ্গিরা কেবল আফগানিস্তান নয়, ভারতেও হামলা চালিয়েছে।’’
কংগ্রেসের এক সদস্য জানতে চান, পাকিস্তান সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া নিয়ে মনোভাব বদলাবে কেন? জবাবে ম্যাটিস জানান, এ নিয়ে পাকিস্তানকে নানা স্তরে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। বিদেশসচিব ও প্রতিরক্ষাসচিব স্তরে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থাগুলিও বিষয়টি নিয়ে সক্রিয়। কূটনীতিকদের মতে, অনেক সময়েই পাকিস্তানের নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে জঙ্গিদের মদত দেয় পাক সেনা ও আইএসআই। ম্যাটিসের মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ জঙ্গি-যোগ নিয়ে আইএসআইকে চাপ দিচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই পাক বিদেশমন্ত্রী খাজা আসিফের সঙ্গে মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসনের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে ট্রাম্প প্রশাসন ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছে বলে ধারণা কূটনীতিকদের।
পাশাপাশি ‘ওবর’ প্রকল্প নিয়েও ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন ম্যাটিস। ওই প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকেই চাপ দিচ্ছে বেজিং। ‘ওবর’ প্রকল্পের অংশ ‘চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডর’ পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ফলে ওই প্রকল্প নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি রয়েছে ভারতের। আজ ম্যাটিস বলেন, ‘‘ওই প্রকল্প বিতর্কিত এলাকার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এখন কোনও দেশ এমন প্রকল্পের বিষয়ে এক তরফা মনোভাব নিতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy