জি-৭ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে আর তিন দিন পরেই টোকিও সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার পরে হিরোশিমায় পা ফেলার কথা তাঁর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন পরমাণু বোমায় বিধ্বস্ত জাপানের শহর হিরোশিমায় আশা জাগিয়েছিল প্রেসিডেন্ট ওবামার এই সফর।
কিছু মানবাধিকার সংগঠনের মনে হয়েছিল, এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন হিরোশিমায় আসছেন, তাঁর কাছ থেকে হয়তো বা শোনা যাবে ক্ষমার সুরও। সে আশায় জল ঢেলে ওবামা বলেছেন, হিরোশিমার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন না। জাপান এবং আমেরিকার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকেই কেবল জোর দিতে চান তিনি। ওবামা বলেছেন, ‘‘যুদ্ধ চলাকালীন নেতাদের অনেক রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সে সব নিয়ে প্রশ্ন তোলা ইতিহাসবিদদের কাজ।’’ মার্কিন নাগরিকদেরও সিংহভাগ বলছেন, যুদ্ধ শেষ করতে এবং অসংখ্য মার্কিন-জাপানি প্রাণরক্ষায় পরমাণু বোমা বর্ষণ প্রয়োজনীয় ছিল। দিন তিনেক আগেই এ নিয়ে আমেরিকায় নাগরিকদের মত সংগ্রহ করা হয়। তাতেই স্পষ্ট, কোনও ক্ষমাপ্রার্থনায় তাঁরা বিশ্বাসী নন। কূটনীতিকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুঝেছেন এই পরিস্থিতিতে ক্ষমাপ্রার্থনা করলে দেশেই সমালোচিত হতে হবে।
জাপানে পরমাণু হানার ভয়াল স্মৃতি যাঁদের কাছে এখনও টাটকা, এমন অনেক নাগরিক আবার মনে করছেন, ওবামা ক্ষমা চাইলে ভাল হতো। কিন্তু ক্ষমার চেয়েও বেশি জরুরি বিশ্বের সব দেশকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের দিকে নিয়ে যাওয়া। ক্ষমা চাইতে গিয়ে সে পথে যেন কোনও বাধা না আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy