ছবি: এএফপি
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-বিরোধী আন্দোলন থেকে বন্ধুত্বের সূচনা। বিশ্বব্যাপী করোনা-আতঙ্কের পটভূমিতেও পাশে থাকার অঙ্গীকার দৃঢ় হয়েছে। গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে থাকা এই বন্ধুরাই ভারতে করোনা মোকাবিলায় গণতহবিল গড়ে সাহায্যের পরিকল্পনা করেছেন।
জার্মানির কোলনে কর্মরত উত্তরবঙ্গের অলোকপর্ণা, জেনিভায় গবেষণারত সুচরিতা, দিল্লির অভিমন্যু, পুণের লুবনা, বেঙ্গালুরুর আসাদেরা এর আগে কয়েক বার দেখা করেছেন। ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতর ও ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদরের সামনে জড়ো হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এখন সকলেই নিজের কর্মস্থল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘরবন্দি। সেখান থেকেই চলছে সাহায্যের তোড়জোড়। অলোকপর্ণা বললেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কেউ বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারতে অন্য তহবিলেও টাকা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা নিজেরা গোটা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা বলে নিজেদের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে ছোট ছোট সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি।’’ গণতহবিল গঠনের সংস্থা ‘কেটো’ এবং নিজেদের পরিচিতদের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এই প্রবাসীদের কাজের ‘নেটওয়ার্ক’। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, লখনউ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাডু, কেরল-সহ নানা জায়গায় কাজ করছেন তাঁরা। আমদাবাদের একটি সংস্থার সঙ্গেও কথা চলছে। ‘ইন্ডিয়ান অ্যালায়েন্স’ নামে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে নিজেদের তহবিলের ইন্টারনেট লিঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে এই তরুণ-বাহিনী।
অলোকপর্ণার কথায়, ‘‘কলকাতার বস্তিবাসী, বেঙ্গালুরুর জঞ্জালকুড়ানিদের মতো বিভিন্ন বিপন্ন গোষ্ঠীর সাহায্যে আলাদা আলাদা তহবিল গড়া হচ্ছে। সেখানে খুশিমতো সাহায্য করা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy