স্মরণ: লন্ডনের গর্ডন স্কোয়ারে নুর ইনায়েতের মূর্তি। নিজস্ব চিত্র
জার্মানির দাখাউ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। ১৯৪৪-এর ১৩ সেপ্টেম্বর এই নাৎসি ক্যাম্পেই মাথায় গুলি করে হত্যা করে হয়েছিল এক তরুণীকে। মারা যাওয়ার সময়ে তিনি শুধু বলেছিলেন— লিবের্ৎ। ফরাসিতে যার অর্থ, স্বাধীনতা!
আগের রাতে ভয়াবহ অত্যাচার করা হয়েছিল মেয়েটির উপরে। কিন্তু মুখ খোলেননি তিনি। বলেননি তাঁর আসল নামটুকুও। জার্মানরা জানত, তাঁর নাম নোরা বেকার। সন্দেহ করেছিল, তিনি এক জন ব্রিটিশ গুপ্তচর। সন্দেহ ঠিক-ই ছিল। তরুণীর আসল নাম নুর ইনায়েত খান। টিপু সুলতানের বংশধর। নাৎসি বাহিনীর হাতে হত্যার সময়ে বয়স ছিল ত্রিশ।
সম্প্রতি ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক জানিয়েছেন, বেশ কয়েক জন ‘অ-ব্রিটিশ’-এর সম্মানে বিশেষ মুদ্রা তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য জেহরা জ়াইদার। সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখছেন অর্থমন্ত্রী। এই সব অ-ব্রিটিশের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইনায়েত খান-ও।
মৃত্যুর পাঁচ বছর পরে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘জর্জ ক্রস’ দেওয়া হয়েছিল ইনায়েতকে। মরনোত্তর ‘ক্রোয়া দ্য গ্যের’ (ফ্রান্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সম্মান ‘যুদ্ধের ক্রস’)-ও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তা ছাড়া, লন্ডনের গর্ডন স্কোয়ারে তাঁর একটি মূর্তি রয়েছে। তাঁর ছবি দিয়ে ব্রিটেনে স্ট্যাম্প রয়েছে, ইনায়েতের সম্মানে তাঁর লন্ডনের বাড়ির সামনে ‘ব্লু প্লাক’ বসানো হবে। তা ছাড়া অবশ্য বিস্মৃতির অতলেই রয়ে গিয়েছেন তিনি।
এখন পৃথিবীজোড়া ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপনিবেশের অস্বস্তিকর ইতিহাস সরিয়ে রেখে নতুন ভাবমূর্তি তৈরি করতে উদ্গ্রীব ব্রিটেন। ইতিহাসের বিস্মৃত অধ্যায় থেকে তুলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে নুরের মতো অ-শ্বেতাঙ্গদেরও। ‘স্মারক মুদ্রার’ তালিকায় রয়েছেন ক্রিমীয় যুদ্ধের সময়ের কৃষ্ণাঙ্গ নার্স মেরি সিকোল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করা গোর্খা রেজিমেন্টের কুলবীর থাপা প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy