প্রয়াত ভি এস নইপল। —ফাইল চিত্র
উপমহাদেশের অন্যতম প্রতিভাধর সাহিত্যিক বিদ্যাধর সুরাজপ্রসাদ নইপল ওরফে ভি এস নইপলের জীবনাবসান হয়েছে। লন্ডনে তাঁর বাসভবনে ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ত্রিনিদাদের এই ঔপন্যাসিকের। কী কারণে মৃত্যু, তা সঠিক ভাবে জানা না গেলেও প্রাথমিক অনুমান, বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে নোবেলজয়ী এই লেখকের।
মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী নাদিরা নইপল একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, যে ভালবাসার মানুষজনের সঙ্গে সারা জীবন কাটিয়েছেন এবং যাঁদের জন্য সৃষ্টিশীল জীবন কাটিয়েছেন, মৃত্যুর সময় তাঁদের সকলেই উপস্থিত ছিলেন।
২০০১ সালে সাহিত্যে নোবেল পান নইপল। তাঁর অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে ‘এ হাউস ফর মিস্টার বিশ্বাস’, ‘ইন এ ফ্রি স্টেট’ ‘এ বেন্ড ইন দ্য রিভার’-এর মতো উপন্যাস।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাসঘাতক’, ফেসবুকে আক্রান্ত কর্নাটকি শিল্পীরা
১৮৮০-র দশকে নইপলের দাদু-ঠাকুমা কাজের খোঁজে ত্রিনিদাদে পাড়ি জমান। ত্রিনিদাদে বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে নইপলের বাবা ছিলেন প্রথম ইংরেজি ভাষার সাংবাদিক। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি লেখালেখি করতেন। তার মধ্যেই ১৯৩২ সালে ত্রিনিদাদে জন্ম হয় ভি এস নইপলের। যদিও পরবর্তীতে জীবনের বেশির ভাগ সময় ইংল্যান্ডেই কাটিয়েছেন নইপল। ব্রিটেনের নাগরিকত্বও পেয়েছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই অক্সফোর্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজে একটি স্কলারশিপ পেয়ে তিনি লন্ডনে যান।
আরও পডু়ন: ইউরোপের এই সেরা শহরগুলোয় বেড়াতে যাওয়া কি ঝুঁকির হয়ে উঠছে?
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই তিনি প্রথম উপন্যাস লেখেন, যদিও তা প্রকাশিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে লন্ডনের ন্যাশনাল পোট্রেট গ্যালারিতে ক্যাটালগ তৈরির চাকরি পান। তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘দ্য মিসটিক ম্যাসিওর’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে। নোবেল ছাড়াও বহু সাহিত্যের পুরস্কার রয়েছে নইপলের ঝুলিতে। এ ছাড়াও ১৯৮৯ সালে নাইউটহুড পেয়েছেন তিনি। এ হেন লেখক তথা ঔপন্যাসিকের মৃত্যুতে সাহিত্য জগতে শোকের ছায়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy