Advertisement
E-Paper

মোবাইল, কম্পিউটারের শুল্কে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘ডিগবাজি’ ট্রাম্পের! বার্তা চিনকেও, কী যুক্তি দিলেন?

গত শুক্রবার ট্রাম্পের দফতর থেকে মোবাইল, কম্পিউটার, সেমিকন্ডাক্টরের মতো পণ্যের উপর শুল্কছাড় ঘোষণা করা হয়েছিল। রবিবার তা অস্বীকার করলেন ট্রাম্প। পাল্টা বার্তা দিলেন চিনকে।

photo of Donald Trump

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৫৯
Share
Save

নতুন শুল্কনীতি থেকে কোনও দেশকেই ছাড় দেওয়া হবে না। চিনকে তো একেবারেই নয়। আরও এক বার হুঁশিয়ারির সুরে সেই বার্তাই দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার তাঁর দফতর থেকে মোবাইল, কম্পিউটার, সেমিকন্ডাক্টরের মতো পণ্যের উপর শুল্কছাড় ঘোষণা করা হয়েছিল। রবিবার তা-ও অস্বীকার করলেন ট্রাম্প। জানিয়ে দিলেন, কোনও পণ্যে কোনও ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়নি।

সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘ভারসাম্যহীন বাণিজ্যনীতির জন্য কাউকে রেয়াত করা হবে না। বিশেষত, চিনকে তো একেবারেই ছাড় দেওয়া যাবে না। এখনও পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে সবচেয়ে খারাপ আচরণ করেছে ওরাই।’’ শুক্রবারের ঘোষণার কথা অস্বীকার করে ট্রাম্প এর পর লেখেন, ‘‘গত শুক্রবার কোনও শুল্কছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়নি। এই পণ্যগুলির উপর আগে থেকেই ২০ শতাংশ শুল্ক ছিল। তাই প্রযুক্ত রয়েছে। এগুলিকে শুধু অন্য এক শুল্কনীতির আওতায় আনা হচ্ছে মাত্র। যারা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তারা সত্যিটা ভাল করেই জানে।’’

চিনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। পাল্টা চিন ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে মার্কিন পণ্যে। এই আবহে গত শুক্রবার (ভারতীয় সময়ে শনিবার) আমেরিকার শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা দফতরের নতুন নির্দেশনামা প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের মতো কিছু পণ্যের উপর নয়া শুল্কনীতি কার্যকর হবে না। এই ধরনের পণ্য অধিকাংশই আমেরিকায় আমদানি করা হয় চিন থেকে। ফলে মনে করা হয়েছিল, চিনের উপর কিছুটা হলেও ‘নরম’ হচ্ছেন ট্রাম্প। কিন্তু রবিবার সেই সম্ভাবনায় ইতি টেনে দিলেন নিজেই।

চিন-সহ একাধিক দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। ভারতের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ। ৯ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তার আগে হোয়াইট হাউস এই বর্ধিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে দেয়। কিন্তু স্থগিতাদেশ সব দেশের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হলেও ব্যতিক্রম ছিল চিন। পাল্টা চিনের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন ট্রাম্প। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে আমেরিকার বাজার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চলতি বছরে আমেরিকার অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন অর্থনীতিবিদেরা। কিন্তু ট্রাম্প নিজের অবস্থানে অনড়। তিনি জানিয়েছেন, সেমিকন্ডাক্টর-সহ বৈদ্যুতিন পণ্যের সমগ্র উৎসই জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে তদন্ত করে দেখা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দেশ আরও বড় হবে, আরও ভাল হবে এবং আরও শক্তিশালী হবে। আমরা আবার আমেরিকাকে মহান করে তুলব।’’

সংক্ষেপে
  • দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষণে যেমন উঠে এসেছে আমেরিকার বিভিন্ন বিষয়, তেমনই জায়গা পেয়েছে বিদেশনীতিও।
  • পূর্বসূরি জো বাইডেনের সরকারের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের কণ্ঠে। তাঁর ভাষণ জুড়ে ছিল কখনও অন্য দেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, আবার কখনও শোনা গিয়েছে ধন্যবাদজ্ঞাপনও। উঠে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গও!
Donald Trump Trump’s Tariff War US China Tariff War China

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}