যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপ গাজ়া। ছবি: রয়টার্স।
বন্দিদশা ঘুচলেও এখনও আতঙ্ক কাটেনি। ইজ়রায়েলের হাসপাতালে শুয়েই হামাসের হেফাজতে থাকার অভিজ্ঞতা জানাচ্ছেন সদ্য মুক্তি পাওয়া বেশ কিছু পণবন্দি। যদিও যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনেই প্রকাশ্যে এই নিয়ে কিছু বলার বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের। তবে হামাসের হাতে অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবার, পরিজন এবং তাঁদের চিকিৎসা করা স্বাস্থ্যকর্মীদের সূত্রে বন্দিজীবনের কিছু কাহিনি প্রকাশ্যে আসছে।
ইজ়রায়েলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সদ্য মুক্তি পাওয়া ১৭ জন তাইল্যান্ডের নাগরিক। সেই হাসপাতালের মেডিক্যাল টিমের প্রধান রনিত জ়াইডেনস্টেইন রোগীদের সঙ্গে কথা বলার পর জানান, বন্দিদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হত না। তাই অল্প সময়ের মধ্যে প্রত্যেকেরই ওজন কমে গিয়েছে।
ইজ়রায়েলের উলফ্সন মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক মার্গারিটা মাশাভি হামাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “চিকিৎসাধীন এবং সদ্য মুক্তি পাওয়া বন্দিরা জানিয়েছেন যে, তাঁদের পর্যাপ্ত আলো পর্যন্ত দেওয়া হত না। এমনকি অবসর কাটানোর জন্য পেন-পেন্সিল চাইলে, সেটাও দেওয়া হত না।” হামাসের তরফে যে খাবার দেওয়া হত, সেখানে ফল-সব্জি থাকত না বলেও দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক।
চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে এখনও পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি বন্দিকে ছেড়ে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তবে এখনও গাজ়ায় বন্দি রয়েছেন প্রায় ১৬০ জন পণবন্দি। তাঁদের দ্রুত ফেরানোর বিষয়ে ক্রমশ চাপ তৈরি হচ্ছে ইজ়রায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের উপর। এই পরিস্থিতিতে আরও দু’দিন যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy