ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির সভামঞ্চে অমিত শাহ। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির সভামঞ্চে ঠিক দুপুর ১টা বেজে ৫৪ মিনিটে ওঠেন অমিত শাহ। বক্তৃতা শেষ করে নেমে যান ২টো বেজে ২৯ মিনিটে। তিনি মঞ্চে ওঠার পর বক্তৃতা করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। তার পরেই ভাষণ দিতে শুরু করেন শাহ। তবে শুরুতেই বিজেপির সভায় সমর্থকদের জমায়েত নিয়ে অভিযোগ জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রশ্ন করেন, ‘‘বাংলার আওয়াজ কোথায় হারিয়ে গেল’’?
ধর্মতলার মঞ্চে বাংলার প্রসঙ্গ উঠতেই ভোটের কথা বললেন শাহ। প্রশ্ন করলেন, ‘‘আগের বার ১৮ টা আসন দিয়েছিলেন এ বার মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার মতো ভোট দেবেন তো?’’ তবে তার পরেই টেনে আনলেন গ্রেফতার হওয়ার বাংলার শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং নেতাদের নাম। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে এখনও দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়নি কেন?
অমিত শাহের ভাষণে উঠে এল মোদীর নেতৃত্বে দেশের একের পর এক সাফল্যের কথা। কাশ্মীর, করোনা, চন্দ্রযান, এমনকি, রাম মন্দিরের কথাও বললেন শাহ।
মঞ্চে হিন্দিতে বক্তৃতা দিচ্ছেন অমিত শাহ। উঠেই সমর্থকদের প্রশ্ন করলেন, ‘‘বাংলার আওয়াজ গেল কোথায়?’’
বিধানসভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মঞ্চে মন্তব্য শাহের। বললেন, ‘‘দিদি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার শুভেন্দুকে বরখাস্ত করলেন। উনি শুভেন্দুকে বার করতে পারেন, কিন্তু জনতাকে চুপ করাতে পারবেন না।’’
অমিত শাহকে মঞ্চ থেকে স্বাগত জানালেন দিলীপ ঘোষ। তার পরেই একে একে বক্তৃতা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। ভাঙা গলায় শুভেন্দু পাঁচ মিনিটেই শেষ করলেন বক্তৃতা। নবান্নের কানে আওয়াজ পৌঁছে দেওয়ার স্লোগান দিলেন সুকান্ত।
সাড়ে তিনশোর বেশি আসন নিয়ে মোদী আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, ধর্মতলার মঞ্চে বললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
রেসকোর্সের হেলিপ্যাডে অবতরণ করল শাহের হেলিকপ্টার। ধর্মতলার সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হলেন সড়ক পথে।
হেলিকপ্টারে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা হলেন অমিত শাহ। তাঁর কপ্টার নামবে আরসিটিসির হেলিপ্যাডে। পাঁচ মিনিটে ঢুকবেন সভাস্থলে।
কলকাতা বিমানবন্দরে নামল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিমান। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনল বিজেপি। হুঁশিয়ারি দিল, অসহযোগিতা করলে বিজেপির কার্যকর্তারা ধর্মতলার ট্র্যাফিকের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেবে।
লকেট বললেন, ‘‘উত্তরকাশীর টানেল থেকে সবাই যখন বেরোচ্ছিল তখন স্লোগান উঠেছিল ‘জয় শ্রী রাম’ আর ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হবে। সারা দেশজুড়ে একটাই স্লোগান উঠবে রাম রাম রাম। তখন মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা থেকে বেরিয়ে পাকিস্তানে যেতে হবে।’’
‘‘বহু মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন জেলে গিয়েছেন, এই সরকারকেও ছুড়ে ফেলব’’, মঞ্চে বললেন বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
শমীক বললেন, ‘‘২০১৯ এবং ২০২১ সালের ভুল আর নয়। কংগ্রেস আর সিপিএমের এবার জেগে ওঠা দরকার। তৃণমূলকে যেতে হবে।’’
পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্মতলা চত্বরে ট্র্যাফিক বন্ধ না করার অভিযোগ করল বিজেপি। বলল, রাস্তায় জমায়েত সত্ত্বেও বন্ধ করা হয়নি যান চলাচল। পুলিশ অসহযোগিতা করছে।
ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের পাশেই টিপু সুলতান মসজিদ। সেখানে আজান শুরু হতেই বন্ধ করা হল বিজেপির সভা। থামল বক্তৃতা।
বিজেপি নেতা রাজু বিস্তা বললেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের জায়গায় জায়গায় মিনি পাকিস্তান তৈরি হয়েছে। তাই সতর্ক হতে হবে।’’
ধর্মতলায় বিজেপির সভা মঞ্চের বক্তৃতায় নানা ভাষার সমাহার। বাংলায় বক্তৃতা করে সভা শুরু করেছিলেন বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। পরে আদিবাসী ভাষায় বক্তৃতা করেন খগেন মুর্মূ। মনোজ টিগ্গা হিন্দি এবং আদিবাসী ভাষা মিলিয়ে বক্তৃতা করলেন। রাজু বিস্তা ভাষণ দিলেন হিন্দিতে।
মঞ্চে বক্তৃতা পর পর বক্তৃতা করছেন মনোজ টিগ্গা, খগেন মুর্মূ। এর আগে বলেছেন বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক এবং লোকসভায় বিজেপির প্রথম সংখ্যালঘু মহিলাপ্রার্থী মাফুজা খাতুনও।
ধর্মতলায় বিজেপির সভা শুরু হল। মঞ্চে বক্তৃতা করছেন শালতোড়ের বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে প্রচারে এসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চন্দনার কথা বলেছিলেন। এ বার শাহের সভাতেও প্রথম বক্তার সম্মান দেওয়া হল তফসিলি এই বিধায়ককে।
অমিত শাহের সভা মঞ্চে আসার কথা দুপুর পৌনে ২টোয়। তার আগে ধর্মতলা চত্বরে জমায়েত শুরু হয়েছে বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকেদের। কিন্তু সকাল সওয়া ১১টাতেও ভিড় তেমন জমজমাট নয়। লেনিন সরণি এবং এসএন ব্যানার্জি রোডে স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল। তবে বিজেপি নেতৃত্ব আশাবাদী যথাসময়ে উপচে পড়বে ভিড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy