ট্রেভর ম্যালার্ড। ছবি: এপি।
পার্লামেন্টে চলছে গুরুগম্ভীর আলোচনা। স্পিকারের আসনে বসে ট্রেভর ম্যালার্ড। তবে একা নন, তাঁর কোলে রয়েছে এক দুধের শিশু। ফিডিং বোতলে করে তাকে দুধ খাওয়াচ্ছেন ম্যালার্ড। মাঝেমধ্যে তাকে দোল দিয়ে ঘুম পাড়ানোরও চেষ্টা করছেন। বুধবার নিউজিল্যান্ডের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের অধিবেশন চলাকালীন এমন ছবিই দেখা গেল। ‘বেবিসিটার’ স্পিকারের এই ছবি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো বটেই, গোটা বিশ্বের প্রশংসায় ভেসে যাচ্ছেন ট্রেভর ম্যালার্ড।
মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে বুধবার ছ’সপ্তাহের শিশুকে নিয়েই পার্লামেন্টে এসেছিলেন লেবার পার্টির এমপি দম্পতি তামাতি কফে ও তাঁর স্বামী টিম স্মিথ। জ্বালানির মূল্য নিয়ে তামাতি যখন তুমুল আলোচনায় ব্যস্ত, সে সময়ে তাঁর দুধের শিশু তুতানেকাই স্মিথ-কফেকে কোলে তুলে নেন স্পিকার ট্রেভর ম্যালার্ড।অধিবেশনের মাঝে থাকলেও তার যত্নআত্তিতে কসুর করেননি তিন সন্তানের পিতা ম্যালার্ড। পরম স্নেহে তাকে দুধ খাওয়ানো বা ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তারই মাঝে অধিবেশন পরিচালনাও করতে থাকেন।
Normally the Speaker’s chair is only used by Presiding Officers but today a VIP took the chair with me. Congratulations @tamaticoffey and Tim on the newest member of your family. pic.twitter.com/47ViKHsKkA
— Trevor Mallard (@SpeakerTrevor) August 21, 2019
টুইটারে সে দিনের ঘটনার ছবি দিয়ে ম্যালার্ড লিখেছেন, ‘সাধারণত স্পিকারের চেয়ারটি কেবলমাত্র প্রিসাইডিং অফিসারই ব্যবহার করতে পারেন। তবে আজ এক জন ভিআইপি-ও আমার সঙ্গে চেয়ারে বসেছেন।’
Amid so much bad news, here's something lovely. https://t.co/lKKpgsGq7E
— Carin Zissis (@CarinZissis) August 22, 2019
ম্যালার্ডের ওই ছবি দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। এক জন লিখেছেন, ‘আয়তনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড খুব ছোট দেশ হতে পারে। তবে বিশ্বকে বেশ বড় বিষয় শেখানোর রয়েছে। দারুণ ছবি!’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘বিশ্ব রাজনীতিতে এ ধরনের (ছবি) আরও চাই!’ কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিয়ে যাঁরা সরব হন, তাঁরাও এ ছবি দেখে প্রশংসা করতে থামেননি। এক জন টুইটারে লিখেছেন, ‘আমাদের এই রকমের ছবি আরও দেখার প্রয়োজন রয়েছে। কর্মস্থলে যাতে এ ধরনের আচরণ আরও দেখা যায়, তার ব্যবস্থা করা দরকার।’ যাঁকে ঘিরে প্রশংসার বান ডেকেছে, সেই ম্যালার্ড নিজে কী ভাবছেন? তাঁর মতে, নিউজিল্যান্ডের আরও অনেক কর্মচারী নিজের কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের আচরণ করবেন। তাঁর কথায়: ‘‘এতে কর্মক্ষেত্রে আরও ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে উঠবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy