জি ২০ সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদী এবং শি চিনফিং।— ফাইল চিত্র।
হামবুর্গে আলাদা করে কথা হবে না মোদী-চিনফিং-এর। বৃহস্পতিবার বেশ জোর গলায় জানিয়েছিল চিন। কিন্তু শুক্রবার ঠিক উল্টোটাই ঘটল। জার্মানিতে জি-২০ শিখর সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর মধ্যে আলাদা করে কথা হল। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন। তবে মোদী-চিনফিং-এর মধ্যে কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে, তা বাগলে জানাননি।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের টুইট থেকে জানা গিয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা যে হবে, এমনটা পূর্বনির্ধারিত ছিল না। কিন্তু জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ব্রিকস দেশগুলির নেতারা যখন একত্রিত হয়েছিলেন, তখনই মোদী এবং চিনফিংয়ের মধ্যে আলাদা করে কথা হয়। মিনিট পাঁচেক তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে খবর। তবে সেই আলোচনায় ত্রিদেশীয় সীমান্ত ঘনিয়ে ওঠা সঙ্কটের বিষয়টি উঠে এসেছিল কি না তা গোপাল বাগলে স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: ভারত-চিন আবার যুদ্ধে জড়ালে কে কতটা প্রস্তুত
মাস খানেক ধরেই ডোকালাম নিয়ে ভারত এবং চিনের সম্পর্ক উত্তপ্ত। ডোকালামে চিনা বাহিনী রাস্তা তৈরি করছিল। কিন্তু ভুটানের দাবি, ডোকালাম তাদের এলাকা। চিনের পদক্ষেপে ভুটান আপত্তি জানাতেই সক্রিয় হয় ভারত। সেনা পাঠিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। তার পর থেকেই দু’দেশের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বাহিনী না সরালে চিনা সামরিক পদক্ষেপ করবে বলে হুঙ্কার দিচ্ছে ভারতকে।
কূটনৈতিক পথেও সীমান্ত সঙ্কটের সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। চিন ও ভারতের বিদেশ মন্ত্রক পরস্পরের মধ্যে কথা চালাচ্ছে। জি-২০ শিখর সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট চিনফিং বিষয়টি নিয়ে পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করতে পারেন বলেও জল্পনা ছিল। বৃহস্পতিবার চিন সে জল্পনা নস্যাৎ করে জানায়, প্রেসিডেন্ট চিনফিং এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে কথা হওয়ার মতো পরিবেশ এখন নেই। কিন্তু হামবুর্গে শুক্রবার অল্প সময়ের জন্য হলেও আলাদা করে কথা বললেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy