আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন আমেরিকা সফরে সর্বাধিক গুরুত্ব পেতে চলেছে উচ্চপ্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র। পাশাপাশি আমেরিকা যাওয়ার জন্য ভারতীয় ছাত্র ও পেশাদারদের ভিসার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা যাতে কমে, সেই দিকটিও সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকে। মোদীর সফরের আগে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানালেন ভারতে নিযুক্ত আমরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি।
অন্য দিকে ওই সফরে তিনশো কোটি ডলার মূল্যের ৩০টি হামলাকারি ড্রোন সে দেশ থেকে কিনবে ভারত। আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় পরিষদ এই বিষয়টিকে সিলমোহর দিয়েছে। এর পর এই সংক্রান্ত ফাইলটি অনুমোদন করবে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। সূত্রের খবর, মোদী আমেরিকা যাওয়ার আগেই এই অনুমোদন এসে যাবে। পাশাপাশি সমুদ্র পথে নজরদারির জন্য তৈরি ড্রোন (সি গার্ডিয়ান) আমেরিকা থেকে লিজ-এ নেওয়া ছিল ভারতের। তার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে। সেই মেয়াদ বাড়ানো নিয়েও চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে এই সফরে।
২২ জুন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নৈশাহার করবেন মোদী। ওই দিন আমেরিকার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতাও দেবেন। আজ গারসেট্টি বলেন, “আমরা সামরিক ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর করার পথে হাঁটছি। সেটা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উৎপাদন হোক, প্রযুক্তি বা প্রশিক্ষণ হোক। এই সমস্ত কিছুই অসাধু শক্তির মোকাবিলাকে শক্তিশালী করবে। তা ছাড়া ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের প্রতিরক্ষাকে মজবুত করবে।” চিনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য, “আমরা মনে করি ভারত আমেরিকার সম্পর্ক কোনও তৃতীয় রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল নয়। এটাও আমরা জানি যে চিনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কই চায় ভারত। আমরাও তা চাই। এরপরই তিনি বলেন, প্রয়োজনের মুহূর্তে ভারত এবং আমেরিকা একে অন্যের পাশে রয়েছে। মোদীর সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে গারসেট্টি বলেছেন, “পরিবেশ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রেও বেশ কিছু চুক্তিপত্র সই হওয়ার কথা রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy