Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Yevgeny Prigozhin

কোথায় প্রিগোঝিন, রহস্যই

রাশিয়ার বেসরকারি ওয়াগনার বাহিনী ইউক্রেন এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সক্রিয়। সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুটে দীর্ঘদিন ধরে চলা লড়াইয়ে ওয়াগনার গোষ্ঠীই রাশিয়াকে জিতিয়েছে।

An image of Putin and Yevgeny Prigozhin

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গোষ্ঠীর সর্বেসর্বা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মস্কো শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ০৮:২১
Share: Save:

রাশিয়া সোমবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গোষ্ঠীর সর্বেসর্বা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের দেখা হয়েছে গত ২৯ জুন। বিদ্রোহে ক্ষান্ত দেওয়ার পাঁচ দিন পরে। তার পরেও প্রশ্ন, কোথায় গেলেন প্রিগোঝিন? ২৯ জুনের পরেও দশটা দিন কাবার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেউ জানে না, কোথায় রয়েছেন তিনি।

রাশিয়ার বেসরকারি ওয়াগনার বাহিনী ইউক্রেন এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সক্রিয়। সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুটে দীর্ঘদিন ধরে চলা লড়াইয়ে ওয়াগনার গোষ্ঠীই রাশিয়াকে জিতিয়েছে। সেই যুদ্ধে ইউক্রেন এবং ওয়াগনার, দুই পক্ষেই প্রচুর মৃত্যু হয়। প্রিগোঝিনের অভিযোগ ছিল, রাশিয়া সহযোগিতা না-করায় তাদের প্রচুর যোদ্ধাকে হারাতে হয়েছে। যুদ্ধ জয়ের পরে ওয়াগনার যোদ্ধাদের নিশানা করে পুতিনের বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এর পরেই ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় ঢুকে পড়ে ওয়াগনার বাহিনী। কিন্তু মস্কোর কাছাকাছি চলে এসেও হঠাৎই ফিরে যায়। সেই সময়ে শেষ দেখা গিয়েছিল প্রিগোঝিনকে।

বেলারুসের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কো দাবি করেছিলেন, তিনিই পুতিনের সঙ্গে ওয়াগনার বাহিনীর সমঝোতা করিয়েছেন। মস্কো এ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনও করেছে। শোনা যাচ্ছিল, সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী প্রিগোঝিনকে বেলারুসে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু লুকাশেঙ্কোর দাবি, তিনি সেখানে নেই। রাশিয়াও বলছে, প্রিগোঝিন কোথায় তারা জানে না আর জানতে চায়ও না। ফলে প্রিগোঝিন ‘রহস্যমৃত্যুর শিকার’ হয়েছেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন, ২৯ জুলাই পুতিন প্রিগোঝিন এবং ওয়ানগরের ইউনিট কমান্ডার-সহ মোট ৩৫ জনকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ঘণ্টা তিনেক কথাবার্তা হয়েছে। সেখানে ওয়াগনার কমান্ডারেরা নাকি জানিছেন, তাঁরা পুতিনের সঙ্গেই ছিলেন আর ভবিষ্যতেও থাকবেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE