Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

সন্তানকে বাঁচাতে রাস্তায় বুকের দুধ ফেরি মায়ের!

সম্প্রতি চিনের একটি ওয়েবসাইটে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। চিনের সোশ্যাল মিডিয়া সিনা ওয়েইব-তে’ ইতিমধ্যেই ‘সেল মিল্ক, সেভ গার্ল’ বলে শেয়ার হয়েছে সেই ভিডিও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেনজেন শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৩
Share: Save:

কথায় বলে, দুধের ঋণ নাকি মেটানো সহজ নয়। চিনের শেনজেনে রাস্তার ধারে বিকোচ্ছে সেই দুধই! নিতান্ত সামান্য দামে। বিলোচ্ছেন খোদ মা। সন্তানের চেয়ে আর কিছুই বড় নয়, তাই নিজের বুকের দুধ ফেরি করেই অসুস্থ শিশুর প্রাণ বাঁচাতে চান মা।

সম্প্রতি চিনের একটি ওয়েবসাইটে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। চিনের সোশ্যাল মিডিয়া সিনা ওয়েইব-তে’ ইতিমধ্যেই ‘সেল মিল্ক, সেভ গার্ল’ বলে শেয়ার হয়েছে সেই ভিডিও।

চিনের গুয়াংডং প্রদেশের অন্যতম ব্যস্ত শহর শেনজেন। সেখানেই একটি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে ভর্তি রয়েছে ওই মহিলার যমজ সন্তানের একটি শিশু। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, শিশুটিকে বাঁচাতে খুব শিগগিরই প্রয়োজন এক লক্ষ য়ুয়ান। ভারতীয় মূল্যে যা ১০ লক্ষ টাকারও বেশি।

আর সেই বিশাল পরিমাণ টাকা জোগাড় করতে এর চেয়ে সৎ এবং সহজ পথ আর কিছু মাথায় আসেনি ওই মহিলার। আর তার পর থেকেই শেনজেনের একটি শিশু উদ্যানের পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বুকের দুধ বিক্রি করা শুরু করেছেন তিনি। পাশে রয়েছেন তাঁর স্বামীও।

আরও পড়ুন: জরুরি অবস্থা মলদ্বীপে, যেতে নিষেধ ভারতীয়দের

তবে বুকের দুধ বিক্রির ঘটনা তেমন নতুন কিছু নয়। বর্তমানে অনেক দেশেই মাতৃদুগ্ধ ব্যাঙ্কের ধারণা চালু হয়েছে। শিশুকে খাওয়ানোর পরে অতিরিক্ত দুধ এত দিন পর্যন্ত নষ্টই হত। বিভিন্ন হাসপাতালে এই ধরনের ব্যাঙ্ক চালু হওয়ায় এখন অনেকেই নিজের অতিরিক্ত দুধ সেসব ব্যাঙ্কে জমা করতে আগ্রহী। অনেক সময়েই তা অর্থের বিনিময়ে। তাতে কিছু টাকাও যেমন মিলল, তেমনই অনেক শিশুর প্রাণ বাঁচাতে কাজে লাগল ওই দুধ। চিনেও এই ধরনের ব্যাঙ্কের প্রচলন রয়েছে। তবে ব্যাঙ্ক থাকলেও সচেতনতা নেই কোথাওই। তাই শেনজেনের এই দম্পতিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কেউ বা যেচেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছেন। কেউ বা সাহায্য চাওয়ার কুরুচিকর পন্থা হিসেবেই দেখেছেন গোটা বিষয়টিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই ভাবে নিজেদের সম্মানকেই খাটো করছেন ওই দম্পতি। তবে কেউ কেউ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে যে কোনও বাবা, মা-ই নিজেদের সম্মানের চেয়েও বাচ্চার জীবনকেই বড় করে দেখত!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE