ফাইল চিত্র।
সেনা শাসনের বিরুদ্ধে পথে নেমে আজও ফের মৃত্যু হল ৮ জন বিক্ষোভকারীর। মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখনও পর্যন্ত ২৩২ জন আন্দোলনকারী মারা গিয়েছেন বলে দাবি করেছে ‘অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজ়নার্স’ নামে এক সংগঠন।
আজ সকালে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল আউংবান শহর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেখানেই আজ আট জনের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় ব্যারিকেড করে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী এসে জোর করে সেই ব্যারিকেড তুলতে গেলে আন্দোলনকারীরা বাধা দেন। গুলি চালায় পুলিশ। আউংবানের সঙ্গে বিক্ষোভ-মিছিলে আজ উত্তাল ছিল ইয়াঙ্গন, মান্দালয়েরও।
এ দিকে সেনা-বিরোধী খবর করার জন্য মোট ৪০ জন সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছেন মায়ানমারে। আজও দু’জন সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে বিবিসি-র এক সাংবাদিকও রয়েছেন। যদিও বিবিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আউং থুরা নামে তাদের ওই সাংবাদিকের কোনও খোঁজই মিলছে না। একের পর এক সংবাদমাধ্যমের অফিসও বন্ধ করে দিচ্ছে জুন্টা। গত সপ্তাহে এক দিনও বেসরকারি কোনও সংবাদপত্র ছাপা হয়নি দেশে। আজ সেনার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন গতান্ত্রিক নেত্রী আউং সাং সু চি-র মুখপাত্র কিউই টোং। রাতের দিকে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখছে সেনা। মানুষ যাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করতে পারে, সে চেষ্টাও চলছে। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধারণা, চিনের মতো যন্ত্র মেধা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহার করে তাঁদের মুখ চিনে রাখার প্রক্রিয়াও চালু করেছে জুন্টা।
মায়ানমারে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর ডাক দিয়েছে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলি। আজই পড়শি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মায়ানমারের মানুষের অধিকার রক্ষায় ১০ সদস্যের এই সংগঠনকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy